গহীনের আলাপন
জামাল উদ্দিন জীবন


শিশির ভেজা মিষ্টি সকাল পবনের আগমন
ঝিরি ঝিরি ছন্দে কর্ণে বাজে নতুনের জয়গান
মনানন্দে প্রেমের হরষে গীত শুনায় পাপিয়া
কুসুম কলির সুঘ্রাণে পাখির কলতানে বলে।


ভোমরা অলিকুল তুমি আমার থেকো প্রিয়া
জুঁই বেলি চামেলি বকুল হাসনাহেনার সম্ভারে
হৃদয়ে নতুন ঢেউ তুলেছে অন্তরে বারে বারে
আত্মহারা হয়ে কয় শত বার চেষ্টা করেছি।


তোমাকে ভুলে যেতে কভু তুমি ভুলিবার নয়
আমার মনের ঘরে করেছো আসন করে যতন
দূরে ঠেলে দিতে গিয়ে যত্নে রাখি মনের মতন
চোখের আড়াল করে ভেবেছি মনের আড়াল হবে।


দিবা নিশি মোর আঁখি যুগল তোমাকেই শুধু খোঁজে
রেখেছি তোমায় অন্তরে সাথে রাগের মাঝে অনুরাগে
গ্রীষ্মের কাঠ ফাটা রুদ্রে বুকের মাঝে শীতল পরশ
পিপাসায় বুক ফেটে যায় বারীর ধারা ঝর্ণা পরে গায়ে।


দারুণ খরায় বুকের জমিন চৌচির রয় পরশ খানিই চায়
শাপলা শালুক বর্ষায় নাও দৌড়ানো কত স্মৃতি কথা কয়
মনে পরে খাল বিল নদীর জলে কেটেছি অবাধ সাঁতার
হারিয়েছি দূর বহু দূর কত না নাম অজানা দিক প্রান্তর।


বিকেলে সবার ওগো চরে চুপি চুপি দীঘির পাশে দেখা
সন্ধ্যায় ঘরে ফিরা নিয়ে কত বাক্যালাপ বিবর্ণ কটু কথা
ভয়ে কাঁপে অন্তর কেমনে যাব ঘর লুকিয়ে দিয়ে যেতে
আহা মরি মরি লাজে হৃদয় আত্মায় সত্তায় শিহরন জাগে।


আলতো পরশে স্বর্গের সুখ অনুভূত হয় সারা অঙ্গে অমার
আমাকে রেখে যত্নে বাসরে ফিরতে চোরের মত করে ঘরে
শরতের সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে দুজনে ঘুরেছি দুনিয়া
সারাটা নবান্ন কেটেছে চড়ুই ভাতি সব কথা কয় আপন মনে।


শীত সকালে পিঠা পুলি পায়েস রাঁধে খেজুর রসে বাড়িতে
প্রিয়ার জন্য লুকিয়ে রেখেছি সকলি মনে পরে নতুন হাড়িতে
বসন্তের গানে মন হারায় তার সনে গাহি সুরে সুরে প্রেমের গীত
দক্ষিণা পবন জাগায় শিহরন দুজনে স্মৃতির অতলে গড়েছি বসত ।
রচনা কাল : ০১।১১।২০২১