হামর লাগি পতাকা আনতে ০৩
জামাল উদ্দিন জীবন


বাঁচারে চল জলদি করে হেথা থাকা না যাবে বিপদ হবে তবে
থাক পরে থাক সবি ওখানে চিরকুট খানা দেখি কি লেখা আছে
ওরা আসতে পারবে না লিখেছে রক্তে ভিজা কাগটি পরে গেছে
কিছুটা পথ অগ্রসর হতেই দেখে ডিঙ্গিটি মাঝ নদীতে একা ভাসে।


জলদি পা চালাও কারা ছুটে চলেছে পিছে গতি পথ পাল্টে নিয়ে
ভিন্ন পথ ধরে হাটে চোখে মুখে ভয় আতঙ্ক উৎকণ্ঠা থমকে দাঁড়ায়
সামনে এগিয়ে যেতে হবে দ্রুত বেগে অগ্নি কাণ্ড শিখা প্রজ্বলিত হাতে
ওরে ভয় নেই অমানিশা অন্ধকার কেটে গেছে উদিত হবে নতুন সূর্য।


নতুন আলয় আলোকিত হবে ভুবন শত্রুদের নিধন করে জয়ী হবো
ফুল তলি ব্রিজের কাছে দু পক্ষের গোলা গুলির শব্দ শুনে লুকিয়ে যায়
কাকু এটা মারি নারে কাকু সময় হয়নি অপেক্ষা করতে হবে চুপ করে
ওরে লতা পাতা ধান কচুরি পানা গায়ে বেঁধে দলের সাথে মিলিত হই।


বিজয় চুপটি করে সব দেখে যেতে যেতে অস্ত্র গুদামের কাছে চলে আসে
চোখের সামনে অনেককে হারিয়ে জড় সর সকলে তখনও গুলি চলছে
ওরা ভেবেছে সব কিছু শান্ত অবশিষ্ট কেউ নেই অনেকেই আসে দেখতে
দালাল রাজাকার দোসর হায়েনা ওরা জানেনা বীর বাঙ্গালী জীবন দিবে দেশ।


দেবে না ভাষা মায়ের মুখের কথা অন্য কাউকে কেড়ে নিতে দিবে না কখনও
নও জওয়ান হও আগুয়ান সময় হয়েছে এবার দেশ মাতৃকার টানে সারা দেবার
সংখ্যায় পাঁচ জন ওরা হবে পঁচিশ ত্রিশের মত জীবনের তরে মরতে প্রস্তুত
মাগো বাজানরে দেখিনি তোমাকে বিজয় দান করতে করি মৃত্যুর সুধা পান।


গ্রেনেড হাতে নিয়ে সামনে এগিয়ে যায় বীর দর্পণে মৃত্যুর ভয় নেই ডর নেই
নেই কোন আতঙ্ক চোখে মুখে অবাক বিস্ময় তাকিয়ে রয়ে ওর পানে নীরবে
হাত দুটি পিছে বলে কিরে পুঁচকে তোর কি মরণের সাধ জেগেছে অট্র হাসির
শব্দে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়ে উঠে গ্রেনেডর সাথে সকল শব্দ থামে।


বাজানরে ও বাজান ফিরে আয়না ঘরে খোকা হারানো মায়ের আত্ম চিৎকারে
আকাশ বাতাস ভাড়ি হয়ে উঠে  এটা কি তোমরা বাজনরে ফিরাই আন ছেনি
ও কথা কয় না ক্যান নিথর হয়ে আছে শরীরে এত রক্ত পুটলির ভিতরে লেখা
বাজান হামারে পতাকা দিল না মা আমার গায়ে পতাকা আঁকা চিনেছ হলে দেখা।