জীবন একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র
জামাল উদ্দিন  জীবন


সকলের জীবনই একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র
জন্ম লগ্ন হতে চলছে এটা আজীবন
এর সীমা পরিসীমা নেই ভুবন মাঝে
একাকী যুদ্ধটা করে যাচ্ছি নিজের মত।


আকাশে কখনও ঝলমলে রৌদ্র খেলা করে
কখনও বিষাদের ঘন অন্ধকার বাসা করে
নীল বিষে বিষাক্ত ভুবনটা অঝোর ধারায়
কাঁদছে এখন  চলার পথটি দুর্গম পিচ্ছিল।


পথ চলছি অবিরত দিন রাত্রি সঙ্গী বিহীন
কখনও কূলের দিশা পাই কখনও হারাই
আসা যাওয়া পাওয়া না পাওয়ার দোদুল্যমান
এই ভেলায় ভেসে চলছে জীবনের গতি পথ।


আজ কি পেয়েছি কি পাব হিসাব নিকাশ করাটা?
বোকামি বৈকি যোদ্ধার এত সব ভেবে কি লাভ?
জয়ীতে গাজী মৃত্যু বরণে শহীদ সকলেই জানে
বিভীষিকা অপলক নয়নে অবলোকন করে থাকে।


ভাঙ্গা গড়ার খেলা নিত্য দিনের সঙ্গী আমার
সুখের ঘর বাধা স্বপ্নের কথা ভাবার এতটুকু
ফুরসত কই স্বপ্ন কাজল এঁকে দিয়ে দু আঁখিতে?
কত শত স্বপ্নের বাসর সাজাই তোমার জন্য আমি।


পুষ্প কলির নরম বিছানায় রাত্রি যাপন করা
কতজন দিলো কথা হলো না কেউ আপন
এ আমার বিশ্বাসের ঘরে প্রতারণা প্রতিচ্ছবি
দেখা নিজেকে মিথ্যে আশার ভেলায় প্রতারণা।


খেলা সাজাতে পারিনি প্রেমের অববাহিকা
শত বর্ণের রঙ নেই আয়োজন হয় না এখন
কিছুটা সুখ কিনে সুখ বিলাসী নইতো
ক্ষণস্থায়ী সুখী চিরস্থায়ী হয় না জগতে।


মিথ্যের আবরণে ঢাকা সত্যের বলিদান
দণ্ডায়মান রক্তের স্রোত প্রবাহিত হয়
এখন হিয়ার মাঝে রক্ত ক্ষরণ অবিরত
দেখে না অন্তর অববাহিকা অদৃশ্যমান ক্ষত।


দেখা যায় না শুনায় না কেউ কি আছ আপন
ব্যথা বহে ঢেউ বিশাল আকৃতি ধারণ করে
ব্যথার পাহাড় বুকে আছড়ে পরে বারে বারে
কিছু প্রশ্ন আজ তোমার তরে শুধু উত্তর নেই।


একটু সময় প্রার্থনা উত্তর দিবে না দিবে না?
অপরূপ চাহনি মৃদু হাসি পাগল করা ভালোবাসা
তুমি কষ্টের মাঝে লুকিয়ে দেখাও সুখী ভুবন মাঝে
সবুজ আজ কখনও অবুঝ ছিলাম তোমার প্রেমে।


তোমার ধ্যানে মগ্ন ভুলেই গেছি দিন ক্ষন মাস বছর
অস্তিত্বের আবরণে বন্দি রংমহল খানা সর্বলোকে কয়
অপরূপ সাজে সেজেছো অপরূপা ভুলে অতীতের কথা
প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ দেয়ালে ঢাকা হৃদয়ের সিংহ দ্বার ।


পরাজিত জীবনে পালিয়ে বেড়াও
বলো এটা কি শোভা পায় তোমায়?
যোদ্ধা জীবনের পরতে পরতে কি?
আজ সফলতার রঙ কিরণ ছড়ায়।


পাশে একটু জায়গা দিবে আমায়?
শূন্যতা বিষে পরিপূর্ণ হেথায় কি?
স্থান দিব রক্তে রঞ্জিত এ পথ চলা
একাই চলি সঙ্গী সাথী প্রিয়া ছাড়া।