মাটির পুতুল
জামাল উদ্দিন জীবন


মাটির পুতুল মাটির পুতুল রে তোমার বদন পানে
চেয়ে দেখি অপলকে বানাল কোন সে কারি গড়?
যতন করে ধরাতে তোমায় মনের মতন ভালোবেসে
কি অপরূপ রূপের কিরণ নেহারি কভু আঁখি বাতে।
সাজা লো কে তোমায় আজ তুলির আঁচড় দিয়ে
তার হাতের নিপুণ কারুকাজে জান কি তারে?
অঙ্গে তে জড়ায়ে শাড়ী নাম দিল তার নীলাম্বরী
হাতে বালা মাথায় কাঁকন কানে তে পরিয়ে দুল।
খোপায় গুজিয়া দিলে হলুদ গাদাঁর কতশত ফুল
সকল আছে তোমার দেহে নাই শুধু প্রাণ খানি
তবুও আছ তুমি অবিচ্ছেদ্য হয়ে জগতে বিদ্ধ মান
অনেকে আবার তোমাকে করে ভক্তি আর সম্মান ।
চায় অনেক কিছু সকল কল্যাণকর তোমার সে দান
বারো মাসে তে রটি পার্বণ তোমার জন্য আছে রাখা
হলোনা কভু আমার আঁখিতে তোমায় শেষ বার দেখা
বহু রূপে ধরা ধামে ঘটে পুনরায় তোমার আগমন।
লক্ষী রাণী বিদায় নিল আমার ভুলে আজ গৃহ হতে
জীবন জুড়ে শুধু অন্ধকার বয় এখন সেদিন থেকে
কৃষাণীর ঘরের প্রজ্বলিত আলোক রশ্মি দেখি নিভে গেছে
অন্যের ঘরে আসিল বধূ তাই একটু আলো ধার নিতে।
সেদিন হতে লক্ষী রাণী পর হয়ে গেলো আমা হতে ধরাতে
আপন কর্ম দোষে না বুঝে হারালাম এ জীবনের সব কূল
এ জীবনে ফুটবে কি আর আশার মুকুল ভালোবাসার ফুল
আপনা লয় ছেড়ে পুতুল আজ বসত করে অন্যের গৃহ মাঝে।