প্রকৃতির প্রেম
জামাল উদ্দিন জীবন


হাজার বৃক্ষ রাজি সনে মন মাতানো পাখির কল তানে
অপলক নয়নে দেখেছি অপরূপ সৌন্দর্য বাংলার ঠিকানা
দাঁড়িয়ে সীমানা মাথা উঁচু করে পাহাড়ের বুকে বলি কথা
আঁকা বাঁকা মেঠো পথ ধরে বয়ে চলা গজনীর প্রান্তর হেথা।


বাংলার সীমানা শেষ প্রান্ত দেখি ওপারে দাঁড়িয়ে ভারত
পাখিদের বিচরণ হাজারো ধ্বনিতে মুখরিত বিজন বনে
ওরা জয়গান শুনায় সোনার বাংলার মুক্তাঙ্গন নিজস্ব বৃত্তে
সবজের সমারোহ সাজানো বাগান মন মাতানো বন বনানী।


কত শত বার ফিরে আসি তবু কেন মনে হয় দেখা হয়নি?
সহস্র ফুট উচ্চতা হেথা নিবিড় আলিঙ্গন করে সবুজ ছায়া
প্রকৃতির কি অপরূপ মায়া বুকে জড়িয়ে রাখে পরম মমতা
সান্নিধ্য পেতে ছুটে আসি তোমার কাছে নাওগো কাছে টানি।


কুহু কুহু সুরে বাজায় বাঁশি রাখালের প্রাণ কাড়া সুরের টান
মনুষ্যত্বের মত কথা কয় ময়না টিয়া বউ কথা কও টুনটুনি
এযে আমার সত্তায় মিশে রয় বাউলের একতারা তাই কয়
জেলেরা মাছ ধরে সারাটি রাত্রি জেগে চাষী দেয় চাষ জমিনে।


সোনার ফসলে খেতে ভরে যায় আসে নতুন ধানের নবান্ন
পিঠা পুলি পায়েস রাধার পরে যায় ধুম অতিথিদের আগমন
হরেক রকম পিঠার বাহারে জিবে জল চলে আসে আহারে
এসে যায় বর্ষা রাণী প্রকৃতির চির চেনা রঙ রূপ বদলে দেয়।


আপন মনে চারি দিকে প্রবাহিত করে অথই পানি প্লাবিত হয়
মাঠ ঘাট বিতৃর্ণ ভূমি পলি পরে ধেয়ে মুছে নিয়ে যায় জরা জির্নতা
প্রাণেতে বয় শুসিতল ছায়া মনে দোলা হয়ে আমি আত্ম ভোলা
ফিরি মোর বাংলায় ওরে কোথাও কি পাবি তার মত ভালোবাসা।


নতুন প্রাণ নতুন আসা নতুন করে বাঁচার প্রেরণা যোগায় দেহে বল
কোথায় পাবি এমন দেশটি আমায় বল তোরা কেন করিস মিছে ছল?
ঘুম ভাঙ্গে পাখির কলতানে ফুলের হাসি দেখি দু আঁখি মেলে সবুজের
প্রান্তর বন বনানী নদীর বুকে সাঁতার কাটে বালি হাঁস পান কৌড়ীর দল।


সজীবতা হাসে প্রকৃতি মানব মনে জাগে প্রেমের হারানো সেই স্মৃতি গুলি
ধরে গান জারি সারি মুর্শিদ ভাটিয়ালি ভাওয়াইয়া বাউল সুর আকুল করা
ভুলিয়ে দেয় সকল ব্যথা বেদনা দুঃখ কষ্টের স্মৃতি মাখা হৃদয়ে জমা খাতা
পরম শান্তিতে ঘুমায় এখানে বুকে মিশিয়ে বুক তাতেই হয় সকলের সুখ।