এলোমেলো  দক্ষিণা বাতাস, নারকেল, সুপারী গাছ হেলে দুলে শ্বা শ্বা শব্দ তুলে।বৃষ্টির রিনিঝিনি প্রাণের সুর হয়ে বাজে।সন্ধ্যা তারারা গভীর অন্ধকারে মিলিয়ে যায়, চুপি চুপি হেঁটে যায় গাঁয়ের বধু।হাস্নাহেনা ফুল সুগন্ধ বিলিয়ে যায় অবিরত।শীতল প্রকৃতির চাঁদ নীল আভায় সিক্ত করে।আবার মাঝে মাঝে নীল জোছনা মেঘের বেলায় হারিয়ে যায়।গভীর অন্ধকার,নূপুরের সুর তুলে আকাশ কাঁদে।দু’একটা বিজলীর আলোয় আলোকিত হয় ধরা।বিকট শব্দে কম্পিত হয় নিরব আঁধার রাত।মানুষ হয়ে পরে নিঃসঙ্গ, বুকের বেতর দুক দুক করে ওঠে।অপন নিবাস তীব্র বাসাতে উড়ে যাবে ক্ষণের দৃষ্টিতে।আকাশ ভেঙে চুচির হয়ে যাবে এখনি।ধূলিকণা জলে ভেসে যায় প্রকৃতির নিয়মে।কিছু ভয়, কিছু আশা নিয়ে মানুষ ঈশ্বরের বন্দনা করে।রাতের গভীরতা হারিয়ে ঝড়ের তীব্রতা কমে।দু’একটা জোনাক নেমে আশে আলো জ্বেলে, বিবর্ণ রাতের আম গাছের ছোট ছোট আম ঝড়ে,কুড়িয়ে নেয়ার প্রতিযোগিতা।শীতল দেহ প্রাণ ফিরে পায় মানুষ, মেঘ জোছনার লুকোচুরি গল্পে হারায় ক্ষত-বিক্ষত ঝড় বাদলা রজনী।মাঝে মাঝে কাঠালের বনে বৌন শেয়ালের ডাক, মুছি গুলো ছিড়ে খায়, কাঠ বিড়ালি গুলো প্রাণের জোয়ারে হারিয়ে এগাছ ওগাছে দোল খায়।দু্’একটা কতবেল নির্মল সুগন্ধে মুগ্ধ করে।অতল গহীন সৃষ্টির উল্লাসে মেতে আধার রাতের নীল জোছনার ভোরের প্রহর কাটে।মানুষ স্বপ্নের আলো ফিরে পায়,স্বাভাবিক জীবন কর্ম চাঞ্চল্য।