আমরা ছিলাম তিন ভাই বোন একসাথে,
হঠাৎ বড় ভাই বলে উঠল এক রাতে,
বলতে বলতে বলে ফেললো একটি মেয়ের কথা,
এমন করে বললো মেয়ে মাধবীলতা।
সহজ-সরল ভাই ছিল মায়ের একমাত্র ভক্ত,
যা কিছু হোক না কেন মায়ের আদেশে থাকতো শক্ত।


ভাই একটা মেয়েকে পছন্দ করত মা গেলো জেনে,
মাকে বলে এই মেয়ে দিবে আমায় এনে।
হবে ভালো? মা চেয়েছিল জানতে,
ভাই বলে পারে সকল কাজ সেই সাথে রানতে।
মা বলল বেশ, এই মেয়েই দিব এনে,
ভাই মার্কেটে গিয়ে জামাকাপড় কেনে।


শেষ পর্যন্ত ভাইয়ের হয়ে গেল বিয়ে,
স্বামী তো নয় হয়ে গেল বউয়ের পি. এ.
বউ নাকি হয়েছে কাজ করতে করতে ব্যাতিব্যাস্ত,
বিয়ের পর পরই আলাদা হবার জন্য হয়েছে ব্যাস্ত।
তাদের আলাদা হবার জন্য বেড়ে গেল ক্ষুধা,
যা কিছু ছিল নিয়ে হয়ে গেল জুদা।


বউয়ের সাথে কখনোই করে না রাগ,
মা কথা বলতে গেলেই বলে এখান থেকে ভাগ,
মুখে তে ভাগ না বললে ও স্বভাবে যায় বুঝা,
রেঁধেছিল গরুর মাংস মাকে দেখে গোজা।
ভাইয়ের হল আপন বউ, মা হল পর,
বউয়রে নিয়ে বাধতে চায় সুখের ঘর।


সাক্ষী আসমান, সাক্ষী জমিন, সাক্ষী চন্দ্র তাঁরা,
ধ্বংস হয়েছে মাকে রেখে ঘর বেঁধেছে যারা।
আারে সত্যিই বোকা তুই বুঝলি না রে ভাই,
মা ছাড়া এ পৃথিবীতে আপন কেহ নাই!