তুমি ভুল বুঝিও না
হে পাঠক তুমি ভুল বুঝিও না।
বাংলার হৃদয়হীনা গল্পখানী শুনেছিলাম একবার,
হৃদয় তো ঠিকই আছে গল্প নেই যে আর।
গল্পের চেয়ে হত যদি মিষ্টি কোনো স্বরলিপির কথা,
দেখা যেত পাঠকের সে কি নিরবতা।


পাঠক তো পাঠ করবেই মূল্যটা বুঝবেনা,
গল্প তুমি লিখবেই দুঃখ তোমার গুঁজবে না।
রবীর কাছে প্রশ্ন গাথো, তিনি জানেন কতখানি,
বলিতেন হয়তো সাহিত্যের কাছে আছেন আজও ঋণী।


তাহার চেয়ে লিখতে যদি প্রেমের কোনো কথা,
পাঠক বলতো হেঁসে অল্প কেসে অসাধারণ লিখছে বেটা।


সাহিত্য তো সাধনা নয়, অসাধ্য এক ব্যাপার!
সাহস তোমায় কে দিয়েছে? এই সাহিত্য লেখার।
সাহিত্য তো কল্প-কাহীনির গল্প নয় করিবে রিমঝিম,
অনেকে সাহিত্য নিয়ে দেখেন কত না ড্রিম।
সাহিত্যের চেয়ে হতো যদি স্বরলিপির কোনো কথা,
তবে, দেখতে তুমি পাঠকের মনে সে কি নিরবতা।


আসলে পাঠক তো পাঠক নয়,
সময়ে আছে বলেই পাঠ করিতে হয়।
পাঠকের কাছে যতই তুমি প্রশ্নের মালা গাঁথো,
আহারে, সে তো পাঠক নয় কিছুই বুঝবে না তো।


তাহার চেয়ে লিখতে যদি স্বরলিপির মত,
হুমড়ি খেয়ে পড়তো মানুষ এ জগতে আছে যত।
আসলে সে তো পাঠক নয়,
সাময়িক ক্ষণের জন্য তাকে পাঠক হতে হয়।


পাঠক তো হারিয়ে গিয়েছে অজানা পথের কাছে,
পাঠক সে তো সাহিত্যচর্চা করিয়া একলা একলা হাঁসে।
আসলে সে তো পাঠক নয়,
সাময়িক ক্ষণের জন্য তাকে পাঠক হতে হয়।।