ছন্দঃ মাত্রাবৃত্ত-৫


একটি কালভার্ট, তার উপর।
চারিপাশেই জলাধারে একাকার।
ফাঁকা আকাশ, নিশির আমি দোসর একা।
একটি মেঘবিন্দু বরফদলা সদৃশ
শশীকলাকে ক্ষীণ আড়ালে শশব্যাস্ত,
নীরদসোমকৌমুদীর-
এই আড়ালী ক্রীড়ায় মন দৃঢ়ব্যাস্ত।
লক্ষকোটি নক্ষত্র মহাগগনে বিরাজমান।
থেকে থেকেই অকস্মাৎ
কিম্ভূতোই উল্কা হয় দৃশ্যমান।
কালেভদ্রে দেখাদ্যায়, দু'একটি জোনাকি।
জলের পরে-
চন্দ্র আর পোনামাছের হচ্ছে চোখাচোখি।
আমি ব্যাকুল হয়েই দেখি কেবল দেখি।
প্রকৃতির এ নিরঞ্জন মনোহরনী ক্রীড়ায়
কবি হৃদয়েও দু'একটি স্বপ্ন উড়েবেড়ায়।
সেই শশীকলার ন্যায়,
হৃদয়ে জমে থাকা বিরহী মেঘ দলাকে
দূরে ঠেলিয়ে দৃষ্টিপটে ভেসে বেড়ায়
প্রিয়ার মনভুলানো সেই হাস্যকণা।
আর অজান্তেই দৃষ্টিকোণে গড়িয়ে পরে
সেই বিরহী মেঘের একটি জলকণা।।