নিমঘুটুর অভি আর রবিনাথ মারান্ডি, আদিবাসী কৃষক ভ্রাতৃদ্বয়ের,
স্বপ্ন ছিল শৈশবের, এক নতুন বিশ্বজয়ের,
নিজ জমি চাষবাসের, এক প্রকাণ্ড জমি চাই ফসলের,
এক অখণ্ড আকাশ শুধুই ধানের, সোনালী শিষের।    


মারান্ডিদের বহতা জীবন দুঃখ শোকের,
ঢেউ খেলানো, সবুজ ধানের ক্ষেত কৃষকের, আনন্দ সুখের,
আশায় আশায় বহতা পদ্মা-যমুনা উচ্ছ্বাসের;  
গোলাভরা ধান আশ্বাসের।


মারান্ডীদের, সুখের ধানের শিষে এলো নীলিম রেখা, উত্তপ্ত সূর্য্যতাপের,
রুক্ষ খরা, সংবাদ দেয় বিষাক্ত নিঃশ্বাসের,
মারান্ডিদের সর্বনাশের,  
আকাশজোড়া বেঁচে থাকার স্বপ্ন উচ্ছ্বাস, বিনাশের!


মারান্ডিদের ক্ষেতের ধান বিক্রি হলো, স্বল্প মূল্যের কাছে মহাজনের,  
কৃষকের আশা, সোনালি ধানের ক্ষেতে আসবে গল্প আশ্বাসের,
কিন্তু বৈরি পরিবেশ,
পানি নেই জমিতে, শীষ বের হচ্ছে অল্প জমিতে, ধানের;
এসময়ে জমির মাটি ফেটে চৌচির, জীবনটা হয়ে গেলো অস্থির, নেই বিকল্প জলের।    


মারান্ডীরা সন্ধানে গেলেন, গভীর নলকূপের!
"পানি দেওয়া যাবেনা" উত্তর, নেতা বলরাম পাষণ্ডের,
"পানি না পেলে বিষ খেয়ে মরবো" কণ্ঠে ক্ষোভ, অভি ও রবি-নাথের,
"তোরা বিষ খেয়ে আয় তারপর পানি দেবো" দুর্দন্ড আজ্ঞা নেতা কণ্ঠের,  
ধান ক্ষেতে দাঁড়িয়ে হাতে পাত্র বিষের!
অবলীলায় পান করে দুই ভাই বিষ, সোনালি শীষের, অন্তিম নিঃশ্বাসের!


জল এলো, এলোনা জীবন ফিরে মারান্ডিদের,
ধান ক্ষেত, মর্ত্যে দাঁড়িয়ে আস্ফালন করে বিনাশের, বিপ্লবের, বিদ্রোহের!
অন্তিম আলাপন সক্রেটিসের, "কোনটা সঠিক জানা নাই পাতকের"
খরায় চৌচির মাটি জেগে উঠে বলে, জল দাও! দৃশ্যপট, অন্তিম নাটকের,
প্রাণ দাও! নইলে বিষ দাও হাতে, ধ্বংস হোক, নিষ্ঠুর ঘাতকের,
হেমলক বিষ দিয়ে মারবো ষোল কোটি আত্নাদের।।