দ্রুত সংকীর্ণ হয়ে আসছে আমার পৃথিবী
ফুরিয়ে আসছে আশা, নেই কোন প্রত্যাশা  
ঝাপসা হয়ে আসছে আকাশ, ধূসর হয়ে গেছে চাহনি,
চলছে অক্সিজেন শূন্যতার মরমী কাহিনী, দ্রুতই ফুরোচ্ছে জগতের লাবনী
সীমাবদ্ধ হয়েছে কল্পনা, স্মৃতির জগতে এসেছে অকাল বিড়ম্বনা  
দৃষ্টিতে আর নেই কোন আলো, কেউ দ্রুত অক্সিজেনের মশাল জালো
আমি আর দেখতে পাচ্ছিনা, অন্ধকার হয়েছে জগত, আমি নিঃশ্বাসের শব্দ পাচ্ছিনা
হিপোক্যাম্পাসে শুরু হয়ে গেছে আলোড়ন, ফ্রন্টাল লোবে ঘটেছে বিস্ফোরণ!
আমার খিচুনি হচ্ছে! আমি হারিয়েছি বেদনা! নিস্তব্ধ নিথর আমি, নেই কোন চেতনা!
আমি দ্রুত ধাবিত হয়েছি গভীর কোমার দিকে; আত্মা শরীর থেকে মুক্ত হয়েছে!
মুক্তির আনন্দে উড়ন্ত আত্মা হয়েছে স্বাধীন, আজ আর নয় সে পরাধীন!
শ্মশানে মিছিল নেই শরীরে আগুণের শিখা লেলিহান!
কবরে নিঃশব্দ ফেরেশতা, প্রশ্ন বেমিসাল!
অক্সিজেন শূন্যতায়, শরীর মলিন! বিগত আত্মারা দিগন্তে উড়ন্ত সুনীল!!


পাদটীকা অক্সিজেন শূন্যতায় স্নায়ূতন্ত্রের মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়া নিয়ে রচিত। প্রাথমিক দিকে দৃষ্টির পরিধি সংকীর্ণ হয় এর পর ঝাপসা, তারপর ধূসর হয়ে পড়ে দৃষ্টি। স্মৃতি, কল্পনা, বোধশক্তি দ্রুতই কমে আসতে থাকে, এরপর আসে অন্ধকার তারপর খিচুনি অবশেষে কোমা এবং মৃত্যু। এগুলো মূলত মস্তিষ্কের ক্যাম্পাস আর ফ্রন্টাল লোবের পরিবর্তনের কারণে ঘটে থাকে।