এদিকে,
কাক ডাকা ভোরে ঘুম হতে জেগে, সেরে নিয়ে নামাজ, তাহাজ্জুদ
অপেক্ষায় কাটে, কবে দূরে বাজে, মুয়াজ্জিনের সুললিত সুরে
ফজরের আজান মূড়ে
অতীতের পানে বারে বারে চায়, সেদিন পাবো কি ফিরে।


সহসা তখন, হাসিনার মনে, ভিড় করে বসে, শত শত আলাপন
খোলা দোরে, খুশী মনে থেকে
খালেদার সনে করে দিতে হবে সুরমাখা এক টেলিফোন।


ওদিকে,
দ্বিপ্রহরের সূর্য্য দ্বিপে, নিশিরাত জেগে, শঙ্কিত, সময় মর্মন্তুদ
শ্রান্ত ক্লান্ত তসবিহর বাঁকে, হিসাব মেলে না ওরে
আঁখি জড়ায়ে নিদ্রার পরে
কোথায় ফজর, খালেদা প্রবর, জোহর এলো যে, তমসা স্বপন ভিড়ে।


শত শত রবে আজ বেজে উঠে রবি ঠাকুরের কাঙ্ক্ষিত সেই রিংটোন
বন্ধ দুয়ারে সুখ নাহি থাকে
হাসিনার মনে শুরু হয়ে গেছে, দুখমাখা এক জালাতন।


এদিকে,
সালাম আপা, শুনে নাও আজ আমার অমোঘ বাণী
দুজন মিলে করে নিই চলো, কিছু ক্ষণ কানাকানি
শঙ্কিত তুমি, সারাদেশ ব্যাপী, তোমাকে জড়ায়ে চলছে যে টানাটানি
মেনে নাও যদি আজ মোর বাণী, হবে নাকো রাহাজানি।


দেশ ছেড়ে যাও, ছেলেটাকে নিয়ে থাকো তুমি মহাসূচে
কথা দিই শোন, কোথাও হবেনা, কোন জানাজানি
শান্ত স্বদেশ প্রগতি স্ববেগ জাতির বিবেক রবে জেনো মহাসুখে।


ওদিকে,
বুবুজান শোন, দিনে দিনে দেখো, হয়েছে অনেক ঢেলা
ভালো করে জানো, এক মেঘে, কখনো যায়না সকল বেলা
বদলের সুর এসে যাবে যবে, কোথা যে মিলাবে মন্ত্রীর মেলা
ভেবে যদি থাকো, শয়নে স্বপনে রাজরানি থেকে আজীবন তুমি, ভাসাবে সুখের ভেলা।


সে আশায় আজ ঘৃতাহুতি দাও, হাতে নাও কোন, শক্ত মাটির ঢেলা
যেতে নাহি হবে দেশ ছেড়ে কেউ, সামনে তাকিয়ে দেখো ঐ বেলা
দ্রুত এগিয়ে আসছে, কলকল রবে, জনতার ঢেউ, শুরু হলো যে, নূতন খেলা।


বিভক্ত জনগণ,
যতদিন রবে ম্রিয়মাণ জাতি, অন্ধ রবেকো চোখ
সুখের আশায়, যুগ যুগ ধরে, চোখের জলেতে, ভাসাবে আপন বুক
তুমি আর আমি, আপা আর বুবু, বাঙালী-বাংলাদেশী, আমাদের সকল দুখ
সম্পদ যত অর্থ-বিত্ত কভু নাহি পাবেকো সর্বসুখ।।