একটা রাত ছিল।
মন খারাপের রাত।
সে রাতের অনুভূতি ছিল কষ্টের,
যতটা কষ্ট একজন অগ্নিদগ্ধ মানুষের!
আমার চোখে এক পলক ঘুমও ছিল না।
আমি ঝাপসা চোখে আকাশ দেখে
কী যেন ভাবছিলাম।
ভাবনার গভীরতা এত বেশি ছিল যে,
আমি ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত জেলখানার কয়েদির মতো আনমনা
হয়ে ভাবছিলাম।
আমার মনে হলো, আমি ভেঙে যাচ্ছি।
আমাকে বার বার ভাঙা হচ্ছে।
যেভাবে একটা কাঁচের গ্লাস ভেঙে টুকরো টুকরো করা যায়।
কিন্তু এত কিছুর পরেও হাতে থাকা সিগারেট আমার সাথে
কথা বললো।
আমি সিগারেটে একটা টান দিলাম।
সিগারেটের আগুন জ্বলে উঠলো।
এরপর আস্তে আস্তে দমে গেলো।
সিগারেটের এই গভীর সুন্দর দৃশ্য আমাকে
বাধ্য করলো।
আমি যেই না তাকে জিজ্ঞাসা করবো,
তখনি সেই আমাকে বললো-
মানুষের জীবনও এমন!
কখনো জ্বলে ওঠে, কখনো ঠিক সিগারেটের মতো দমে যায়।
তখন তাকে ভালোবাসা দিয়ে জ্বালাতে হয়।
আমি প্রশ্ন করলেম- নিজেকে কি নিজেই ভালোবাসা যায়?
সে বললো- নিজের থেকে আর কেউ এতো  সুন্দর করে
ভালোবাসতেই পারে না।
একসময় সিগারেটের তামাক শেষ হলো।
সিগারেটটাও নিভে গেলো।
জ্বলে ওঠা আর দমে যাওয়ার এই সফলতার আর ব্যর্থতার
গল্পের সমাপ্তি আসলে নিভে যাওয়া!
আমি মৃত্যুর কথা বলছি।