আমি অপলক তাকিয়ে ছিলাম
যতোখানিক সময় ধরে তাকিয়ে থাকা যায়।
আমি মেঘের গর্জন করেছিলাম
যেন ওরা আমার সাথেই থেকে যায়।
কিন্তু ওরা এমন প্রস্থান ঘটালো
যেন ওদের সাথে আর কোনো লেনা-দেনাই নেই।
যেন কখনো আমার চোখে চোখই রাখেনি,
আমার কথায় হাসেনি,
তবে কেউ কেউ আজ আমায় দেখেই কেঁদেছে।
যাই হোক।
জানিনা এভাবে কতদিন থাকবো।
হয়তো অনন্তকাল!
এখানে কোনো আলো নেই,
নেই কোনো বিছানা কিংবা কোলবালিশ।
সাড়ে তিন হাত জায়গা মাত্র।
মাটির দেহ, মাটির ঘর, সবই মাটির!
এখানে কোনো মিথ্যা নেই, সবই সত্য।
এখানে কোনো লোভ কিংবা ইচ্ছা নেই।
তবে দুনিয়ার জীবনে ফিরে একটা মাটির ঘর বানিয়ে
সবার চেয়ে সাধারণ হবার খুব আফসোস হয়েছিল।
ওরা এখনো চল্লিশ কদম পিছিয়ে যায়নি!
আমার পলকও এখনো পড়েনি।
এরপর শুনেছি শান্তি কিংবা শাস্তি।


কর্মের হিসাব কেইবা রাখে, তবু থাকে! তবু থাকে!
কল্পনাতেই কষ্টের, বাস্তবতা আরও কঠিন ছবি আঁকে।
দিয়াশলাইয়ের কাঠি কিন্তু একটাই
এ জীবনের মোমবাতি নেবার আগেই
পরকালের বাতি জ্বালিয়ে নিও!