আমি বহুবার শুনেছি জীবনের কবিতা,
অহরহ গুনেছি মাসের শেষ দশ দিন,
ঝরে পড়েছে, আবার জন্মেছে সুখের তরুলতা,
দুঃখ চির সঙ্গী আমার, তার কাছেই সব ঋণ!


আমি হাজারো স্বপ্ন বালিশের তলায় রাখতে শিখেছি।
আমি খোলা আকাশের নিচে,
মেঘ জমা বুকে, এভাবেই বেঁচে,
শত শখ হাসির মুখোশ পরে পুড়িয়েছি।


শখ পুড়ে গেছে, ধোঁয়ায় চোখ হয়েছে অন্ধকার!
আমি অসুস্থ হয়ে মাথা রেখেছি বিছানায়,
বালিশের তলে চাপা স্বপ্ন ডেকেছে আমায়,
আমি আবারো জীবন-যুদ্ধে হয়েছি একাকার।


আমি জেনেছি, বাবার মাসিক সম্মান,
ডাল-ভাত খেয়ে ফুরিয়ে গেছে তা!
আমি দেখেছি, মায়ের জমানো আঁচল,
যেখানে জমেছে, বাবার শত সংগ্রাম কথা।


আমি সবুজ হয়েছি বাবার মতন,
আমি লোভ মুছে ফেলে, তৃষ্ণা রেখেছি।
আমি যা পাই, তাই করিনি যতন,
দরকার বুঝে নিতে শিখেছি।


আমি ইচ্ছা করেছি কত মরবার,
আবার, জীবনের সাথে লড়াই করেছি কত শতবার।
আমি থেমে যাইনি, থমকে গিয়েছি
হেরে যাইনি, ভয় পেয়েছি
জিতেও কখনো জয় দেখিনি,
সমাজের ললাটে এই দায় কার?


বিলাসিতা নেই, সুখ-দুখ আছে
থেমে যাওয়া নেই, জেগে ওঠা আছে
কিছু চাওয়া, কিছু পাওয়ার মাঝে
এইতো জীবন।
মধ্যবিত্তের এই জীবনে ভালোই আছি বটে,
তবে টাকা রাখতে, কখনোই ভুলবেন না পকেটে!