কিছুই জানিনা বলে
যে জেনে রাখে
সময়ের সকল হিসাব
তাঁর কাছে
কে চাইবে হিসাব?


জুড়িতে লাশ
সুনামগঞ্জে লাশ
কে দেবে তার উত্তর?


জানি মুখচোরা ইতিহাস
পাঁতিহাস হয়ে ধরা দেবে
এভাবেই নৈরাজ্যে
আমরা ঘিনিপিগ
সাধারণ জনতা।


কালিমাখা মুখটি কার?
সমস্ত বাংলাদেশ দেখি
কালিমমাখা সাদা ড্রেস কার?
সমস্ত কলেজ ছাত্রীর


অথচ যারা দুদিন আগেও
চরিত্রের দোহাই দিলেন
আজ কিশোরির সাদা ড্রেসের
ভেতর তাড়া খুঁনসুটি মারে
কিলবিলিয়ে হাসেন
তাদের যৌনাঙ্গ এখন ভরপুর রসে
মইনুলের রস এতো মিঠা
আজ তারা সব ভুলে গেছেন?


অথচ গতোকাল তারা
লাইন বেঁধে দাঁড়িয়েছেন
বক্তৃতার মঞ্চে, মানববন্ধনের সংহতিতে
আজ তারা নিজের পেঠিকোটের ভেতর
আগুনটাকার কুটকুট অনুভব করেন


জনতার শক্তি বুঝে নি শ্রমিক
বুঝেনি ক্ষমতার মমতা
বুঝেনি চলমান সময়
বুঝার কাল আসবে কোনদিন
সেদিনটি রচনা করে কাল
সে দিনের সূর্যোদয় আগামীকাল


স্বাধিনতা আমাদের নয়
যদি হতো পথে ঘাটে মানুষ মারার লাইসেন্স
কেমনে পেতে পারে অরাজক গোষ্টি
যদি আমাদের হতো তবে এতো মৃত্যুর জন্য
ফাঁসির কঠিন রসি কারো গলায় বাঁধা থাকতো
না, স্বাধিনতা আমাদের হয়নি


হয়েছে সেসব মানুষের
যারা দায়িত্বে থেকে মুচকি হেসে
স্বগর্ব বলতে পারে কিছুই জানি না
অথচ তিনি মন্ত্রী
অথচ দেশের কোটি কোটি টাকা লসের দায় তার
অথচ তিনিই জানেন না কিছু
এ আমার নিদারুন বিছুটিকাল


স্বাধিনতার এই চাষতো হবার কথা ছিলো না
স্বাধিনতার এ ইতিহাস গভীর রাতে ডেফল পড়া সময়
বাঁদুর খেয়ে মিষ্টি বলা রঙ



লহরী, সুনামগঞ্জ
৩০ অক্টোবর ১৮