যত যন্ত্রনার ঘুণ পোঁকা আমার মস্তিস্কে
নিঃশব্দে আঁচড় কাটে। কিছুই বলিনা
আমি; কিছু বলার নেই বলে।
সকালের সূর্য্য দেখিনা অনেক দিন,
সবুজ ঘাসের উপর ঠাঁই নেয়া
শিশর বিন্দুর স্পর্শ পাইনি
মাতাল নিদ্রার টানে।
দিবাকরের পূর্ণ যৌবনে চোখ মেলি আমি;
কফি কিংবা চায়ের মগ হাতে
আরাম কেদারায় গা এলিয়ে সলজ্জ চুমুক দেই
পাছে কেউ দেখে বলে।
নিজেকে লুকানোর পথ পাইনা কখনো
ফের বদ্ধ কামরায় বন্দি করি নিজেকে।
ভারি মলাটের ওজনদার বই খানিও এতো
তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় বুঝতেই পারিনা।
মার্ক টোয়েন পড়েও হাসি পায়না
ভাবি কেন এমন হয়?
কখনো তুমি এসে ভর করো অবেলায়
ফেরাতে পারিনা, পারিনা ধরে রাখতে
প্রিয়জনকে কে দূরে রাখতে চায়?
তবুও দূরে থাকতে হয়! এই বুঝি নিয়ম?
নির্বাক বিধাতার কাছে অনেক প্রশ্ন
উত্তর মেলেনা কখনই কোনটার।
এখন সূর্য্যের ছুটি, গোধূলির ললাটে
সিঁদুরের নির্যাস ছড়িয়ে হারিয়ে গেলো
কর্মময় একটি দিনের নিয়ম মেনে;
তখনি দীর্ঘশ্বাস পেছনে ফেলে বেরিয়ে পড়ি
একটু নিঃশ্বাস নেবার আশায়।
পথ ভুলা নাবিকের মত জীবনকে খুঁজে ফিরি
হাজারো চেনা মুখ চোখের সামনে ঘোরে
তবুও জীবন নৌকার নোঙ্গর ফেলার জন্য
এক টুকরো অনাবাদি হৃদয় মেলেনা।
উড়ন্ত আঁধার মানিক জানিয়ে দেয়
রাতের সময়। নীঁড়ে ফেরা পাখির মতন
আমিও নিঃশব্দে ঘরে ফিরি।
একটি দিনের ক্ষত শুকানোর আগেই
চলে আসে আরেকটি দিন
সম্ভাবনার কিংবা আশংকার।