ঘাড়ে ছিলো না কেউ
ছিলো মাথার ভেতর হাজারটা
হাজার কল্পনায়।
ইস্কুল থেকে কলেজ
কলেজ থেকে ভার্সিটি
বাসার ছাদ থেকে
গলির সরু মাথা
খেলার মাঠ থেকে
বোটানিক্যাল গার্ডেন
সব খানেই উড়িয়েছি স্বপ্ন ঘুড়ি
নাটাই একেক জনের হাতে দিয়ে।
সুতোয় নাচা নর্তকীদেরও
রূপালী পর্দা ভেদ করে
বুকে এনে রেখেছি কত!
কেউ আমাকে নিয়ন্ত্রণ করেনি
সবাই আমার নিয়ন্ত্রিত... আহ!


যৌনতার চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করে
আমি আজ নিয়ন্ত্রিত পুরুষ!
কাঁচা বাজার, জুয়েলারী শপ
এটা সেটা আরো কত কি,
রুচিশীল গিন্নির রকমারী আবদারের
নিয়ন্ত্রণে আমার পকেট।
বড় কর্তার মাসোহারা নিয়ন্ত্রণ করে
আমার বিবেক বুদ্ধি ব্যক্তিত্ব শ্রম,
তবুও বড় বাবুর রক্ত চক্ষু থেকে
মুক্তি পাইনা কখনো কখনো।
আর স্বাধীনতা?
সেটাও বন্ধক দেয়া গিন্নির আচঁলে!


তর্জনী আর অনামিকার নীচে থাকা
কিবোর্ডের Ctrl ও Z বাটন দুটিকে দেয়া
নির্দেশ আমার কম্পিউটার কখনোই
অমান্য করেনা। চাহিবা মাত্রই ফিরে যায় অতীতে।
আমার নিশাচর চোখের নীচে জমে থাকা কালি
কিংবা মুখের উপরের ছোপ ছোপ কালো দাগ গুলোও
ফটোশপের ইরেজার টুল  দিয়ে মুছে দিতে পারি।
আরোও অনেক ক্ষমতা আছে হাতের মুঠোয়,
তবুও ক্ষমতার জোরে পারিনা জীবনটাকে অতীতের
রঙ্গীন স্বপ্ন ঘুড়ির সুতোয় বেঁধে দিতে।
সে সময় এসময়ের পাঁজর ফুঁড়ে
বেরিয়ে এলো নতুন এক সময়
অসময়! বড্ড অসময়।