এক-একটা বেছে বেছে ফুল গুলো
করেছ সঞ্চয়,
নানা রঙ, গন্ধ, নামে আর ব্যাকরণে
জেনেছ আরও বেশী এই বাহানায়;
আশা ছিল, পরিপূর্ণ হয় ভালোবাসা
শ্রদ্ধাটুকু রাখতে হবে এত-টুকু আশা
এক-গুচ্ছ ফুলে, প্রনামে।
আসবে ঘরে রবিঠাকুর আজ দুপুরে।


আমাকে সাক্ষী রেখেছ সব কাজে
প্রতি-বুঁদ সংযোজনে, চেয়েছ সম্মতি;
হাসনুহানার উচূ মাথা রাজার পাশে
রানী-গোলাপ কেমন মানায়,
রজনীগন্ধার তন্বী-গ্রীবা, হলুদ ফুলের
ডান দিকে না বাঁ-দিক ঘেসে?


আমার ক্ষীণ হাঁসিটা ঠোটের কোণে
রজনীগন্ধা তাঁর কাছে যে  বড়োই প্রিয়!
গন্ধরাজটা তোমার মাথায় মানায় ভাল,
উৎসাহ-তো আমার প্রতি একটুও নেই
তাই কথাটা চাপা দিলাম নিরবতায়,
সম্মতি-ভুল তৈরী করে আস্থা-বলয়;
আমার এটাই ছিল ইচ্ছে বোধ-হয়।


তৈরী হলো আস্ত-একটা ফুলের গোছা দেখতে যেমন!
চরিত্র গুলো বলছে কথা হাসছে যেমন আকাশ জুড়ে।


ঘন্টি বাজার শব্দ হতে দরজা খুলে সামনে দেখি
আরাধ্য সেই পুরুষ আমার সামনে দাঁড়ায় মূর্তি হয়ে।
তোমার মুখে ফুলের  রাশি চোখে তোমার খুশির হাসি
আমার চোখে জল এসে যায়,
কি জানি কোন খুশি-আঘাত করলো বলে!


আমার ঘরে এলেন উনি, প্রনাম নিলেন স্নেহ-ভরে
তোমার দিকে চোখটি রেখে মুচকি হাসি ঠোঁটে।
মেয়ের চোখতো ছানাবড়া, বিশ্বের-বিস্ময়!


তুমি আনতে গেলে ফুলের গোছা রেখেছিলে যত্ন করে,
কোথায় গেল স্তবক খানা, এই খানে তো ছিল ?
আমার মেয়ে স্কুল থেকে একটু আগে এলো
বললো, সে-খানা ত ঠাকুরমায়ের পায়
রাখা ছিল যে কারণে, দিলাম আমি যত্ন করে।


সবাই দেখি, রাখা আছে গোছা খানা মায়ের ছবির পাশে।


কবিগুরু বলেন হেসে, তোদের দেবার ছিল যত'খানি আহ্বানের ক্ষণে
পেলাম আমার হৃদয়-ভরে, মুখের হাসি ফুলের চেয়ে কম কিছু নয়
তোদের ভেতরটাযে খাঁটি!


ঘুমটা আমার ভেঙেই গেল স্বপ্ন হলো মাটি।