আমার সাথে লড়াই করে উঠে দাঁড়িয়েছ
মেরুদন্ড সোজা করে, উচু মাথা
সমান্তরাল চলার পথে,
এখনো ধরবে হাত!
এসো
দু-দন্ড বসো এখানে
আমার দিকে চেয়ে দেখো,
এখনো আমি ভালোবাসি অরণ্য
বাতি জ্বেলে সারারাত অপেক্ষা করতে পারি।


দুই
এত দিন পরে পায়ের তলায় পেয়েছ মাটি
সেখানে পুঁত না উপেক্ষার বীজ
ঘৃণা ভরে,
তবে
মনে রেখ
চোরাবালি আপেক্ষা করতে পারে,
বরং হাত ধরে দুজন দাঁড়াই মুখোমুখি।


তিন
সবকিছু ভাগ করে নেব,  এই শর্ত মেনে
জয়গোস্বামীর পাগলীকে নিয়ে ঘর-কন্যা!
তারপর তুমি জান, আমি চাইনা বলতে।


চার
এত দূরে কেন থাকি? সে কথাই ভাবি  আমিও
স্বার্থপর ও আমি, অহংকার! দেখেছ কখনো?
সে কথাও না, থাকি ঐ বনান্ধকার নির্জনে
গাছের সাথে কথা হয়, আসে পাখিরা গান নিয়ে
আর আসে প্রজাপতি রঙ ভরে স্বপ্ন-অঙ্গনে।
ক্রোধ নেই কারও মনে, হিংসা আছে; পেটের
দায়ে, বিধাতার এ সংসারে প্রয়োজনে ও নিয়মে।
মানুষের ক্ষিদে মেটে, দেখেছ কখনো?


পাঁচ
যাকে ধরতে চাইছ বার-বার জড়িয়ে আষ্টে-পিষ্ঠে
          বহু যত্ন করে, ছলে-বলে-কৌশলে
                   নিয়মে ও নিয়মের ফাঁকিতে!          
সে তোমার হয় না কেন জান?
                     চায় নিজেকে মুক্ত করতে ।