ভারতীয় পিভি সিঁধু ও ফরাসী কারোলিনা মারিনের মধ্যে অলিম্পিক ফাইনাল খেলা
***********
শীর্ষে পা রাখতে পারনি, হে ভারতী
লজ্জ্বাটা তোমার না, আমাদের
সারাক্ষন পিছনে টেনে রেখেছি অতি!
তোমার গরবে গৌরব আমাদের
                 আকাশ বাতাস ছেয়েছ,
ভারতী! দ্বিতীয় স্থানে থাকতেই হলো
প্রয়াস ও প্রতীজ্ঞা যুগপথ রেখেছ।


ভারতীয় সঙ্কোচিত নারী দেহ সম্ভাষনে,
তুমি অনুসরণ করেছ মাত্র, প্রদর্শক হলে
শীর্ষে তুমিই পৌছে যাবে;
খেলার সবটুকু আনন্দ রেখেছিলে তবু
শেষ পর্যন্ত ছিল সঞ্চিত মধু ভাণ্ডারে।


হে পার্বতী, পর্বতের কাছে শিখে নিতে হবে
সংকট কালে স্থির থাকা অভ্যাস চিরন্তন
আর কিছু আধুনিক তকনিকী কৌশল;
শীর্ষ তবেই আসন পেতে করবে আমন্ত্রণ।
******
কবিতার দায়বদ্ধতা-
এক ও এগারোর পার্থক্য চোখে পড়ল না ফাইনালে, তবে যে ত্রুটিটুকু মুক্ত হলে সিঁধু ও প্রতিপক্ষের স্থান বদল হতে পারত:
এক, ভারতীয় নারীকে সঙ্কুচিত নারীত্বের আড়ষ্টতায় থাকতে হয় এবং সে অভ্যাস ত্যাগ করা কঠিন। এই ভাবনা মুক্ত হলে খেলায় শরীর প্রয়োগের মাত্রা যথেষ্ট উপযুক্ত হয়ে ওঠে।
দ্বিতীয়তঃ আধুনিক তকনিকী কৌশল, যা প্রতিপক্ষ প্রয়োগ করেছে ও সফল হয়েছে।
তৃতীয়তঃ ধৈর্য্য, এখানেও সিঁধু অপেক্ষা প্রতিপক্ষকে বেশী ধৈর্য্যের সাথে স্থির লক্ষে অনড় থাকতে দেখা গেছে।