মুসকিল-ই-ম্যানিয়া যুগে সর্ট-কার্ট-ই ভেল্কি
   আমি তুমি সবাই দিবানা-ই-সেল্ফি
       দুনিয়া ঘুরে সেল্ফি তুলে পিএম হলেন খুশ,
খুশির হাওয়ায় পালক এখন ঝরছেনা তাই
    জুড়েই চলে,
        জুড়েই গেল জীবন সাথী সেল্ফি-সখি।
সেল্ফী-সখি রাতদূপুরে জানালা-পাশে
চোখ কচলে তাকিয়ে আমি অবাক,এ কি!
   আমার পাশে রাত-পূজারী?
      চোর বেচারা রাত জাগে আর উঁকি মারে
          আন্ধকারে তার আবার ঘুম আসে না
             ঘুমের ব্যামো!
          ঘুমের ব্যামো বয়স হলে হতেই হবে
       রাত-জাগা আর রাত-না-জাগা
    দুটোই এখন কাজের কথা
নাইট শিপ্টে।


সেল্ফি তুলতে চাঁদে গিয়ে বিপত্তি যে!
   সেল্ফি-ছড়ি গেলাম ভুলে
      সেইখানেতো সাহারা নেই ,
         বন্ধু এসে কাঁধ মিলাবে
ভাঙতে ভাঙতে ধরবে তুলে উপর দিকে।
চোখ চলে যায় উপর দিকে!
   দেখব শুধু? শুনব বলেই কান উঁচিয়ে,
      কান ভাঙান কথা যেমন লম্ফ-জম্প
          উপর দিকে তাদের আবার অগাধ প্রতাপ
              কান ধরে তাই নামিয়ে দিল
                  ভূবণডেঙার মাঠ পেরিয়ে।
ভূবণডেঙায় এসে দেখি মানুষ মেকি
    দাদা-গিরি রাজের ভালো রমরমা যে!
       চমকে চমকে পিলের দিল হাড়কাঁপিয়ে
          কাঁপতে কাঁপতে মানুষ বড় বে-সাহারা
             বেসাহারার পাশে এসে হাত বাড়িয়ে
                সেল্ফি-ছড়ি হাতে ধরে
                    খুব ঘুরালাম,
                   এক্কেবারে চরকি যেমন
                হাতটা ধরে
           হাতটা গেল ফসকে, পড়ল গিয়ে ছিটকে
       হাড় ভাঙল মটকে
সেই যে দিল ছুট, এক্কেবারেই আউট।


আউট মানে!
সেল্ফি তুলে রমন বাবু অটকে গেলেন
    তার পাশে কে যেন সেই ম্যাক্সি পরে
      সেক্সি দেখায় রাত বিরেতে
        এক্কেবারে সঞ্জীবনী!
           বৌয়ের হাতে নাস্তা-নাবুদ
নাস্তা খাওয়া হলোনা আর, পলায়নে
অফিস গিয়ে প্রাণটা বাঁচে কোনক্রমে।