সারা দুনিয়া কতো রঙে যে আঁকা!
রঙে রঙিন দীগন্তজোড়া,
রঙধনুর সাতটি রঙ, তবুও –
মানুষ করে নেয় আপন
একটি রং-ই যেন, যেখানে টানে তাদের মন।।


অনেক মানুষ, যাদের প্রিয় রঙ ‘লাল’,
তারা খেতেও যে পারে অনেক ঝাল
আর সাথে যেন পেলেই হয় তাদের ডাল।
রাগী তাদের আচরণ, মানে না জঞ্জাল,
ভালোবাসা তাদের মনের গভীরে তোলে পাল,
কষ্ট পেলে আবেগে জড়িয়ে, গুলিয়ে ফেলে তারা তাল,
জেদী এদের মন, সাফল্য পেয়ে যায়;
আজ না হয় কাল।।


বেদনার রঙ ‘নীল’!
হরেক রঙের মাঝেও যারা ছুঁড়তে চায় আকাশে ঢিল,
সব মানুষেই খুঁজে পায় তারা নিজেদের সাথে মিল।
কষ্টে বিভোর চোখে যেন তাদের, নজর কাড়া হয় তিল!
ভালোবেসে নিজে,
ব্যর্থতায় একা একা বসে তীরে – খাল অথবা বিল,
মানুষগুলোর অসম্ভব রকমের বড় হয় দিল;
প্রকাশ করলেই স্বপ্নগুলো তাদের
কেড়ে উড়িয়ে নিয়ে যায় চিল।।


‘হলুদ’ – উজ্জ্বল বর্ণের এক রঙ;
মানুষ-এর সবাই যে করতে পারে ঢং,
সেজেগুজে তারা নিজেরা হয়ে থাকে সং,
গুটিয়ে যায় পেছনে, তাই ভালোবাসায় ধরে তাদের বিশ্বাসের জং,
চতুর এরা, অভিনয়ে পটু, নিজেকেই ভাবে বিধাতা স্বয়ং।।


প্রকৃতির রূপের রঙ – ‘সবুজ’,
মানুষগুলোও এর মাঝে যারা, সবাই হয় অবুঝ,
মনে মনে তাদের ভাবনার আঁকার ত্রিভুজ,
প্রেমের আদান প্রদানে এদের যেন পূর্ণ কবজ,
সামান্য আপ্যায়ন কেড়ে নিয়ে যায়, সৎকারে হয় ভোজ।।


মিশ্রিত রঙ ‘বেগুণী’,
মানুষগুলো যার, সব হয়ে থাকে বড় জ্ঞানী,
মনের দিক থেকে তারা সবাই হয় ধনী,
ভালোবাসায় তাদের ভরা আছে অনুভবের খনি,
যেখানেই করে বিচরণ, সেখানেই হয়ে যায়, সবার চোখের মণি;
প্রেমে পূর্ণ তারা, আবার প্রেমেই যে লেখা আছে তাদের শনি।।


লাল আর হলুদ মিশে হয়ে যায় ‘কমলা’,
জেদের পাশে থেকে যেন বোকা হয় জংলা,
মানুষগুলো রূপে – দেখতে অনেকটা কামলা,
চুলে মেখে ঘুরে বেড়ায়, লাগিয়ে তেল ‘আমলা’,
বাড়তি কিছুতেই যে থাকে তাদের ঝামেলা,
গায়ের রঙ তাদের ঊর্ধ্বে হয় বরণ শ্যামলা,
প্রেম এদের ঝুলে পড়ে, অহেতুক অবেলা।।


“আকাশী”...
মানুষগুলো এর থাকে সবাই পাশাপাশি,
মুখে যেন লেগেই থাকে তাদের সর্বদা হাসি,
থাকতে চায় তারা সবার হৃদয়ে হৃদয়ে হয়ে উদাসী,
মৃত্যু এদের নিতান্ত্যই – হত্যা নয়তো ফাঁসি,
ভালোবাসা তারা নিয়ে যায় অন্যের কেড়ে, হয়ে সর্বনাশী।।