একটু শুনে যা. . . .
তোর কি একবারও মনে হয়না – এই পাগল কে?
আসলেই যে হয়না, তা বুঝেছি
তোকে কোন, ফোন-চিঠি না দিয়ে।


আমি জানি, আমি খারাপ,
অশ্লীলতা আর দেহ ছাড়া – আমি
আর কি-ই বা বল বলতে পারি?
আর তাইতো শুধু দেহের টানে
অসময়ে তোর পিছু ধরি।
এটাই তো, তুই শুধু ভাবিস. . . .


আমি মানুষ নই . . .
সত্যি বলছি তোকে!
আর তাইতো, আমার সব ধ্যান ধারণা
অন্য, সবার থেকেই ভিন্ন।


সবাই নিজের, সীমিত গুণের গুণগান গায়
নিজেকে অন্যের তরে আকৃষ্ট করার জন্য;
আমি ভাবি, সীমিত সব ভালো’তো
অল্প স্বল্প সময় জুড়েই, হয় গণ্য,
অবশেষে যখন আসল রূপের
চেহারা ভাসে চোখে, আছে হয়ে বন্য,
ভালো সব খারাপ মেনে, নিমিষেই
পেতে হয় মূল্য,
হয়ে যাই তখন একে অন্যের তরে –
জংলী থেকেও জঘন্য।


অশ্লীলতা তাই রটাই আমি,
কথা সব তোর করতে দামী।
লাভ-ক্ষতি ভেবে আমরা
ভালোবাসা পেতে কেন’ই বা নামি?


দেহের মাঝে, তোমার কথার ভাঁজে,
অনুভবে তোকে যতোই আমি যাচি;
নিজ শরীরের কাব্যাংশ
কেউ যদি মন খুলে বলতে পারি,
তবেই যে ভালোবাসা
অনুপস্থিতির মাঝেও পায়
উপস্থিতির ছোঁয়া, ভেঙে সব ভগ্নাংশ।


মুখ ফুটে কথা না বলেই, চোখে চোখ না রেখেই,
হাতে হাত না ছুঁয়েই, তোর কোলে মাথা না রেখেই
যদি আমি পারি তোকে অনুভূতিতে টানতে;
তবে তুই'ই বলো_____
কাছাকাছি পাশাপাশি হলে
তখন, কোন কথা রইবে কি অজান্তে??


মনের সব ক্ষত আর বিরহ
এখনই যদি দূরে থেকে চাই জানতে,
পরে তবে কথা হারিয়ে, মুখোমুখি হলে
অশ্লীলতাকেই যে হয়, বাস্তবে টেনে আনতে।


তারপর . . . .
দু’জনের না রয়ে যায় কিছু বাকী,
তাই__ দিতে শুরু করি দু’জনই দু’জনকে ফাঁকি!
বানিয়ে হাজার লোক সাক্ষী
নিজের চরিত্রকে পবিত্র করে আঁকি;
অবশেষে, ছাড়াছাড়ি বাড়াবাড়ি
নাছোড়বান্দা হয়ে, একে অন্যের দোষ দেখিয়ে
নিজের দেহের কালিমা, নিজেই চেয়ে দেখি!


আর তাই;
আমি অশ্লীলতার বাক্য ঝারি,
তবেই যে আমি – ভালোবাসতে পারি,
অহেতুক পরে ভেবে ভেবে, কেন করবো
ভালোবাসার জন্য আহাজারি??