♦একটি ঋণাত্মক সম্পর্ক♦


প্রথম যেদিন তুমি হাতটি ধরে বলেছিলে,
"আমি জীবন যুদ্ধে পরাজিত এক সৈনিক।
চাল চুলো কিছু নেই আমার। তুমি কি আসবে আমার শূন্য ঘরে!  
আমার আঁধার ঘরে আলো হয়ে?"
তাকিয়ে ছিলাম তোমার ঐ
বিবর্ণ মুখপানে অপলক।
তোমার হাতের তালুতে আলতো   করে ছুঁয়ে বলেছিলাম,
"এসো, আমরা শূন্য থেকে শুরু করি।"


অতঃপর শুরু হল দুজনার পথচলা, অনন্ত অসীমের দিকে।
কত স্বপ্ন, কত আশা আর ভালবাসায় আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল, খড়কুঁটো কুড়িয়ে একটা নীড় গড়ার প্রত্যয়ে....

সুখ-স্বচ্ছন্দে ঘেরা একটা ছোট্ট স্বর্গীয় ঘর বানানোর স্বপ্ন ছিল আমার এই ছোট্ট মনে।
বেশি আকাশ-কুসুুম ভেবে ছিলাম হয়ত!
একটা ছোট্ট নিবাস, এক চিলতে উঠোন, একপাশে একটা কৃষ্ণচূড়া ---- এ-ই তো চেয়ে ছিলাম।


তোমাকে কখনো কিছুই বলা হয়নি আমার এ স্বপ্নের জালে বোনা স্বপ্নটার কথা।
ভেবেছিলাম, ও হবে ক্ষণ!
এ বছর না হয় ও বছর।
ফি-বছর শুধু স্বপ্নের মাঝে স্বপ্ন দেখা আর জাল বোনা...


শত টানা পোড়েনেও হাত ছাড়িনি তোমার।
জীবনের পিচ্ছিল পথেও হেঁটেছি  তোমার হাত ধরে
শূন্য হতে মহাশূন্যের পথে; নির্ভয়ে...


জীবনের সরল অঙ্কটা
প্রাথমিক চার নিয়মেও মেলাতে পারিনি আজও।
একটা সহজ সমীকরণ বারংবার
ভুল করেছি বজ্র গুণনে।
শূন্যটা যে ঋণাত্মক অবস্থানে দৃঢ়ভাবে আটকে ছিলাম
তা ঘূণাক্ষরেও টের পাইনি কস্মিনকালে।
         ------++++-----


জোহরাবখাতুন রোজ
৬.১২.১৭