♦তবে তুমি এসো হে বৈশাখ♦
        জোহরা খাতুন


হে, বৈশাখ তুমি এসো না!
তুমি আসলেই বুঝি
কতক চিল শকুনের শ্যেন দৃষ্টি আর নখের তীক্ষ্ণ থাবায়
রক্তাক্ত হয় রমনার বটমূল।
লাঞ্ছিত হয় অনুঢ়া সকল।


তুমি আসলেই বেপরোয়ায় মেতে ওঠে দুষ্ট বালকের দল
বিজাতীয় কদর্যতায়।
লাঞ্ছিত হয় মায়ের সাথে আসা বালিকাটিও।


তুমি এসো না, এসো না হে বৈশাখ।
তোমায় উপজীব্য করে বসে বেহায়াপনার ঘৃণ্য বেসাতি।


জানি, তুমি মানবে না আমার বারণ।
কালের পরিক্রমায় তোমাকে আসতেই হয়।
তবে তুমি এসো।
ঈশাণ কিনারে কালো মেঘের কামান দাগিয়ে এসো তবে।


তোমার ধূলোট বায়ু প্রবাহের তীব্রতা নিয়ে এসো।
প্রচণ্ড ক্ষীপ্রতায় এসো তুমি।


তবে এসো হে বৈশাখ!
তোমার হাওয়ার দাপটে  দুমড়ে মুচড়ে
গুঁড়িয়ে দিও সকল বিজাতীয় বেহায়াপনা।


আবার নতুন রূপে জাগিয়ে দিতে বাঙালিয়ানার স্বাদ
তুমি এসো হে বৈশাখ,
তুমি এসো।
এমনিভাবে এসো তুমি হে প্রিয় বৈশাখ।
**************************