তোমার কবিতার কাব্য রাজ্যে প্রতিদিন সূর্য ওঠে....সবুজ দূর্বা ঘাসে শিশিরের লাজুক মুখ রাঙা হয় প্রোজ্জ্বল সুখে।
তুমি আমার দিকে হাত বাড়াও
তোমার হাতের মুঠোয় অবিশ্রান্ত ছন্দ মালার রঙধনু ...নীল নদের সফেন ঊর্মির সাথে গাঁথে রঙিন মুক্তর মালা।


তুমি এগিয়ে এসে বল-
‘নাও ! তোমার জন্য এই প্রতিম কাব্য আমার !
এ অনাঘ্রাত কবিতা যে তোমারই তরে উৎসর্গ !


আমি স্মিত হেসে বলি - ‘কবি !
তোমার কবিতার শব্দ গুচ্ছের প্রগাঢ় সুগন্ধে আন্দোলিত এ প্রাণ-
ডুবেছে বার বার লালপদ্ম ভাসা জলে... বিষণ্ণ নদীর তীরে জ্যোতির্ময়ী নক্ষত্রের বেগুনী রশ্মি ...এঁকেছে সুখের অনর্ঘ আলপনা।
তোমার হাতের কাব্য মাদকতার তুষার বৃষ্টিতে –
সাহারা মরুর বক্ষ তলে...তৃষ্ণার প্রস্ফুরণ তৃপ্ত হয়েছে বারবার ...


তবুও আজ অতৃপ্ত আমি ... নতুন করে একটি কবিতা চাই তোমার কাছে!
যে কবিতা নিয়ে তুমি আগে কখনো ভাবোনি
যে কবিতা তুমি আগে কখনো লিখোনি
লিখবে? তেমনি একটি কবিতা !আমার জন্য ! আমাদের জন্য!


সমুদ্রের অপার  সৌন্দর্য নয়...মহা গ্যালাক্সির সীমাহীন উদারতা নয়...হাজারো ফুলের স্নিগ্ধ সুরভী নয় ...চমকিত হীরের স্বপ্নিল দ্যুতি নয়...আদিগন্ত বালুচরের স্তিমিত ঝাউ বন –নারকেল বীথি নয়....পাহাড়ের চিবুকে জমা সুদূর কুয়াশা নয়


সকল সুন্দরতার উৎস যিনি..সকল সুন্দরতার স্রষ্টা যিনি...তিনি আদি স্রষ্টা- প্রেমময়....যিনি রাজ্যের মালিক - কোমল হৃদয়.....যিনি রূপদান কারি- পরম দয়ালু- দয়াময়।
সেই চির মহীয়ান প্রভুর তরে একটি কবিতা চাই


তুমি লিখবে বল ! তুমি লিখবে!!


আমি সবুজ বোতলে ঢালবো সেই কাব্য সুধা...ভাসিয়ে দেবো নীল সমুদ্র জলে...
কোন এক অচিন দ্বীপের গোলাপী ঝিনুক ভাসা সৈকতে..সুখী পবনের সিম্ফনিতে
বাজবে সেই অমিয় কাব্য ধারা
অতঃপর ...
নিখিলের সকল প্রাণের হৃদয় উদ্ভাসিত হবে.. তোমার কাব্য সুধার
পরম তৃপ্ততায় ।


‘বল ! কবি ! লিখবে তো ?
এমন একটি কবিতা!


উৎসর্গ -  ( সকল প্রিয় কবি গণ  )