এক মহাকাল আগে
এখানে একটা নদী ছিল
ছোট ছোট ঢেউ ... বেগুনী কচুরি ফুল
শিমূল গাছের শেকড়... জলজ শেওলারা
ভেসে আসতো আপন মহিমায়
আলপনা সিক্ত সবুজাভ জলের রূপালী-স্নানে
হেসে উঠত বিনিদ্র মোহনা !
শিশিরস্নাত রোদেলা প্রহরের রক্তিম পরশ
রাখালের বাঁশীর সুরে ছড়িয়ে দিতো সজল সৌরভ  


কিন্তু আজ এখানে সেই নদী নেই
নেই নির্ঝর সুরেলা কল্লোল
সুফলা বাতাসে নেই প্রাণের আবাদ
রক্ত জবা ...চামেলি-চম্পা ... সাদা বক
কলমি লতা ... সাদা কাশফুল
কেউ নেই !
সবুজ জলে শুধু জমাট বেঁধেছে
এক মুঠো প্রাণহীন মৃত্তিকা  
তিরতিরিয়ে নেচে উঠা ঊর্মিল
ছলাৎ ছলাৎ ছন্দে দোল খাওয়া হৃদয় নৌকোখানি
বিষাদের গভীর অতলে ডুবে গেছে
সেই কবে !
পাংশু-মেঘের নীলাকাশ
ধান শালিকের .. হরিৎ সমাবেশ  
দৃষ্টির সীমানা ছেড়ে পালিয়ে গেছে
নিদারুণ বেদনার-ছলে
ধূসর শ্রাবণ হয়ে ... একাকী সঙ্গোপনে ।
মুঠো-বন্দী সময়ের কর্কশ সঙ্গমে
আজ এই অপসৃয়মাণ মেঘমালার নীরব চত্বরে  
শুধু বেঁচে আছে সেই নিষ্প্রাণ শৈবালিনীর  
এক বুক ধু ধু হাহাকার !!  


১১-২২-২০১৩