ডিঙ্গি নৌকা ও পাখি
মোহাম্মাদ সায়েদুল আরেফীন খান রামীম


এক যে ছিল ডিঙ্গি নৌকা
আর ছিল এক পাখি
সুখে দুঃখে ভালবাসায়
একে অপরের সাথী ।
ডিঙ্গি যখন মনের সুখে
দোলত স্রোতের সাথে
পাখিও তখন নাচতে নাচতে
আসত তার সাথে ।


ডিঙ্গির বাড়ির অদূরেতে
ছিল পাখির বাসা
পাখি তাকে ভালবাসবে
এ ছিল ডিঙ্গির আশা ।
স্বপ্ন ছিল ডিঙ্গির প্রাণে
পাখি হবে তার
কিন্তু পাখি উড়াল দিবে
বেঁধে রাখার সাধ্য কার ।


পাখির যখন বিয়ে হবে
অন্যজনের সাথে
ডিঙ্গির জন্য সে কি
আর তাকাবে পাছে ।
শোন শোন পাখির স্বামী  
একটি অনুরোধ
বিদায় বেলায় দেখতে চাই
আমি পাখির মুখ
যে মুখ আমি দেখেছিলাম
       অনেক বছর আগে
আজ যে দেখি সেই মুখখানা
ঠিক তেমনি আছে ।


পাখি যে আজ মহা খুশি
তার হয়েছে স্বামী
কষ্টে ভরা এ বুক নিয়ে
কি করব আমি ।


পাখি কি আর জানে নাকি
ডিঙ্গি নৌকার খবর
এই তো সেদিন নিজ হাতে
তাকে দিয়েছি কবর ।
লিখতে আজ আর মন বসেনা
তবু লিখতে বসি
নতুন করে পাখি ডিঙ্গির
জীবনের হিসাব কষি ।


কি কারনে চলে গেল পাখি
জানা গেল না সে কথা
পাখির কথা মনে হলে
মনে লাগে  ব্যথা ।
মনের কষ্ট অশ্রু হয়ে
নদীর সৃষ্টি করে
পাখিকে ভালবেসে ডিঙ্গি
পুড়ে পুড়ে মরে ।
অবুঝ পাখি তুইত জান তি
ডিঙ্গির মনের কথা
যাবার পূর্বে ডিঙ্গির জন্য
লাগল না কি মনে ব্যথা ।


যদি কখনও   মন চাই পাখি
এসো নদীর কূলে
জমানো ভালবাসা আমি
দেখাব বুক চিড়ে
সেথায় দেখবে শুধু তুমি
খুঁজে দেখ বার বার
চেয়ে দেখো ডিঙ্গির চোখে
ছবি ভাসে কার ।


এ জীবনে পাখি
আঁখির সাথে রেখে আঁখি
ডিঙ্গি নৌকার সাথে কি
দেখা হবে আর ?
সারাটা জীবন এই প্রশ্নটা
থাকবে শুধুই আমার।