মেয়েটা নতুন কাজ পেয়েছে জয়েন করেছে কাল.
আনলো কিনে মায়ের শাড়ী দাদুর নতুন শাল.
পক্ষাঘাতে পঙ্গু বাবার চোখের কোণে জল.
ভাঙ্গা চোড়া টেবিল পাখা চলছে অনর্গল.
রান্নাঘরে মা তখন ব্যস্ত ভীষণ কাজে.
গলা ধরা রেডিওতে আগমনী সুর বাজে.
দুহাত দিয়ে ধরলো মায়ের কড়া পড়া হাত.
বললো "মাগো আর ভেবোনা,পেরিয়ে গেছে রাত."
মায়ের মুখে হাসি দেখে স্বস্তি পেলো মনে.
মা বুঝি আর ফেলবে না জল লোকের কথা শুনে.
ফেলবে না জল,কাঁদবে না আর,ভুলবে এবার সবই.
দাদা ছিলো ছাত্র নেতা,এখন দেওয়াল ছবি.
ফ্যাক্টরির ওই চিমনি দিয়ে আর ওঠে না ধোঁয়া.
তবুও সবাই খাচ্ছে করে,শুধু বাবা ই ঘরে শোয়া.
মা যদিও সেলাই জানে,তবে চোখ সেধেছে বাদ.
মেয়েটাও তো কলেজ যেত,ফুরিয়েছে সব সাধ.
প্রাণের একটা বন্ধু ছিল,এখন কোথায় যেন আছে.
কাজের জন্য তাকে ফেলে অনেক দূরে গেছে.
একলা সে মেয়ে পদ্য লেখে,তাও ছাড়লো এবার.
পল্টু যেদিন বললো ডেকে " জাস্ট একটা রাতের ব্যপার"
রাতে ভীষণ কেঁদেছিল,বাগ মানেনি জল.
কেমন করে এড়াবে সে খ্যাপা কুকুরের দল!
চোয়াল খানা শক্ত করে দাঁড়িয়ে ছিলো উঠে.
অন্ধকারেই পা বাড়ালো,ভয় পেলোনা মোটে.
প্রবল ঝড়ে ভাসিয়ে ভেলা ডুবলো সকল নিয়ে.
আজকে মেয়েটা সুখ কিনেছে,প্রথম মাইনে দিয়ে.
স্নানের ঘরে ঢুকলো মেয়েটা স্বস্তি ছিলো মুখে.
আবছা কাঁচে দেখলো শরীর,একটা দাগ রয়েছে বুকে.
দাগে ভরে জীবন খানা রাতের অন্ধকারে.
সকাল বেলায় মাইনে নিয়ে মেয়েটা ফিরলো ঘরে.