রাস্তা জোড়া অসুরের ভীড়ে অস্ত্র সানায় কে!
অনেক হলো দুগ্গা এবার খড়গ হাতে নে.
শত শত আলোর মাঝে তোর রূপটি চমত্কার.
বোবা মাটির মূর্তি সেজে থাকবি কতো আর ?
রক্ত মাংসে মানুষ হয়ে পথের মাঝে আয়.
রক্তবীজের বংশ যেন এক কোপে লোপ পায়.
মাঠের পাশে ঘুপচি ঘরে ছোট্ট ইতুর বাস.
আজ এলে ওর আঁধার ঘরে একটুখানি যাস.
বাপ গেছে কোন নিরুদ্দেশে,মায়ের পেটে ভাই.
সে জানে এই বিশ্ব মাঝে দুগ্গা ঠাকুর নাই.
পুলের নীচে বস্তিবাসী অভাগী এক আছে.
অভিমানী বড়, কিছুই চায়নি যে তোর কাছে.
ওকে দিস বেঁচে থাকার একটু খানি আশা.
সবার মাঝে পায় যেন সে একটু ভালোবাসা.
যে মেয়েটা রোজ সকালে ডিউটি সেরে ফেরে.
আজ ওকে দিস একটু আলো রাতের অন্ধকারে.
যে মেয়েটা স্বপ্নে দেখে বীভত্স সেই রাত.
রক্ত চোখে অসুর গুলো বাড়িয়ে ছিলো হাত.
সে মেয়েটার ফ্যাকাসে চোখ দেখতে যদি পাস.
আদর করে মাথার কাছে ত্রিশূল রেখে যাস.
যে অবলা লক্ষী সেজে নিত্য এ সংসারে.
চোখের জলে যাচ্ছে সয়ে শত অত্যাচারে.
আজ তাকে দিস মুখের কথা,স্বাধীনতার স্বাদ.
চোখ মুছিয়ে পূরণ করিস তোকে দেখার সাধ.
যে মেয়েটা বস্ত্রহীনা,ভিক্ষা করে মরে.
তার হাতে দিস বস্ত্র তুলে,বাঁচুক অহংকারে.
যে মেয়েটা তোর নামে আজ অস্ত্র হাতে তুলে,
গলায় পড়ছে মুণ্ড মালা,লজ্জা,শঙ্কা ভুলে.
তার হাতে দিস তোর ওই দশটা হাতের জোর.
পিতৃপক্ষ শেষ করে আন দেবীপক্ষের ভোর.
শঙ্খ বাজুক,জয়ধ্বনি আজ সার্থক হবে.
মাটির মূর্তি গুঁড়িয়ে আসল দুর্গার উত্সবে.
রক্তে মাংসে মানুষ হয়ে নিত্য দিনের কাজে.
দেবী নয়, দুর্গা আসুক ঘরের মেয়ের সাজে.