দাদুর কাছে প্রথম আমার অঙ্ক শেখা.
"নে সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্ক খানা কোরে দেখা"
অনেক সিঁড়ি ভেঙ্গেছি রোজ খাতার পাতায়.
আসল সিঁড়িই আনলো বিপদ জীবন খাতায়.
অঙ্ক কষি আজও আমি সিঁড়ির পাশে.
অকর্মন্য আগাছা আর মৃত হলুদ ঘাসে-
গা এলিয়ে,এক পৃথিবী আঁধার নিয়ে-
বুকে.দেখি ছোট্ট খুকু খেলতে গিয়ে
ফেলে গেছে রান্নাবাটি,শুকনো ফুলের মালা.
ফেলে গেছে সাদা ফিতে,শীতের দুপুর বেলা.
ছায়ার নীচে পড়ে আছে কেমন বর্ণহীন.
শ্যাওলা ধরা দুএকটা বৃষ্টি ভেজা দিন.
বাড়ছে বয়স,সিঁড়িরও তো,প্রত্যাশিত ক্ষয়.
নড়বড়ে এই সিঁড়ি দেখে এখন করি ভয়!
হয়নি ওঠা, কখনো বা মায়ের পিছুডাকে.
আর কখনো অবাধ্যতায়,সবার যেমন থাকে.
দাঁত ফোকলা,ন্যাড়া মাথা বন্ধু যতগুলো
তরতরিয়ে পেরিয়ে গেছে,আমি মেখে ধূলো,
অঙ্ক কষছি,উত্তরটা মাথায় আছে 'এক'
"মেমরি গেম জিতব আমি,জিতব এবার দেখ."
হয়নি জেতা,তবু ইচ্ছে আছে মনে
সময় নিয়ে পা বাড়াবো একান্ত নির্জনে-
কয়েকটা ধাপ,সেই যেখানে আকাশ আছে.
এক চিলতে সবুজ আছে নদীর কাছে.
সবাই যখন সিঁড়ি বেয়ে শেষের ধাপে
এভারেস্টের চূড়ায় বসে ঠান্ডা মাপে.
আমি তখন কয়েকটা ধাপ পেরিয়ে গিয়ে.
করবো খেলা আমার সাধের আকাশ নিয়ে.
সেই যেখানে পেয়ারা গুলোয় একটু খানি-
পাক ধরেছে.লগি দিয়ে টেনে আনি.
তোমরা বানাও বরফ শীতল কাঁচের ঘর.
আমার থাকুক ছোট্ট বাসা সিঁড়ির পর.