মন কেমনের বায়না ভুলে, ঝাপসা কাঁচের আয়না ফেলে,
আকাশ পানে থাকবো চেয়ে.
ভাবনা গুলো কপাট এঁটে, থাকবে ঘরের কোণে সেঁটে,
শরত আসবে জানলা বেয়ে.
ফসল? বেশতো নাহোক.পুজোর দিনে ব্রাত্য এ শোক.
চোখে খুশির আলো জ্বলবে.
শিল্পী দেবে তুলির টান, একটা দুটো বানভাসী প্রান.
তবেই তো থিম জমবে.
ঐদেখো,কি বলছি আমি,ভাবনা নিয়ে কি পাগলামি!
শহর তো আজ তিলোত্তমা!
আমি খেয়ে চোখের মাথা, দেখছি শুধু ছেঁড়া কাঁথা.
আর শিশুর ছেঁড়া জামা!
দেখতে যেসব চাইছি মা,দেখতে কেনো পাচ্ছি না?
হার তবুও মানছি আর?
পুজো পুজো গন্ধ মেখে, শপিং মলে দেখে দেখে,
কিনছি পোশাক রঙ বাহার.
আবার যখন একলা হই,আমি তখন আমিই নই.
আমি তখন চাবাগানের মেয়ে.
বন্ধ বাগান, খাবার নাই, খালি পেটের গন্ধ পাই
দিন কাটে জল খেয়ে.
আবার ভাবি যাকগে চুলোয়,ধুলোর জিনিস থাকুক ধুলোয়.
কোন পুজোতে খরচ কতো.
হিসেব রাখি এসব কথার,জুটমিলটা খুলবে কি আর?
ভাববো কেনো বোকার মতো.
অঞ্জলি দিই ঢাকাই গায়ে,ধুনুচি নাচ আনাড়ি পায়ে.
সিঁদুর খেলায় রাঙ্গিয়ে মন.
রক্ত,বিষাদ দেখবো না, বক্তৃতা আর শুনবো না.
হাসবো,শুধু হাসবো সারাক্ষন.