জীবনে অনেকবার বায়োডাটা বা রেজ়্যূমে লিখেছি.
নাম -জয়ীতা ব্যানার্জী
পিতার নাম -অজিত ব্যানার্জী
জন্ম তারিখ -03/09/1986
বয়স-29 বছর
ঠিকানা-1-দুর্গাপুর;2-পুরুলিয়া ;3-বাঁকুড়া (পশ্চিমবঙ্গ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক(82%);উচ্চমাধ্যমিক(75%);বি.টেক (বায়োটেকনোলজি )
হবি - কবিতা,গল্পের বই পড়া,ছবি আঁকা
ব্যক্তিগত যোগ্যতা(পারসোনাল স্কিলস )-উল্লেখযোগ্য নয়


কিন্তু আজ নাহয় একটু বেশি কিছু বলি নিজের সম্পর্কে.জয়ীতা নামটা বাবা রেখেছেন বড় সাধ করে.নামটি আমার ভীষণ প্রিয় এবং আজও এই ত্রিশ ছুঁই ছুঁই বয়সে নাম টা যখন উচ্চারণ করি জানিনা কোথাও একটা গর্ব বোধ করি. যদিও এ নামের মান আমি কোনদিনই রাখতে পারিনি. জীবনে,বিশেষ করে পেশাগত জীবনে চূড়ান্ত ব্যর্থ মানুষ একটি. স্বপ্ন দেখা দোষের নয়,যোগ্যতা থাকলে তো নয়ই,কিন্তু সেখানে ভাগ্যের ভূমিকাই যে আসল সে আমি নিজের জীবন দিয়ে বুঝেছি. বি.টেক পড়া শেষ হতে না হতেই বিয়ের সিধান্ত নিই,কোন বিশেষ ব্যক্তির ওপর সাময়িক মোহ বলা যেতে পারে,আবার দুজনের গন্তব্য আর স্বপ্ন মিলে যাওয়ার দরুন ও হতে পারে,বাড়ীর আপত্তি না থাকায় ঘটন,অঘটন যাই হোক সেটা ঘটে যায়.দুজনেই বড় শহরে বড় এম.এন.সি  তে কর্মরত.এমন সময় বাধ সাধলো রেসেশন,2009,রেসেশন এর চরম পর্যায় এ দুজনের চাকরি দুটি গেলো,শূন্য হাতে আকাশ থেকে পড়লাম মাটিতে. অনেকগুলো কঠিন সময় পেরিয়ে অবশেষে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলাম.এখন দুজনেই শিক্ষকতা করি.এ পেশায় আমি বিন্দু মাত্র সন্তুষ্ট নই যদিও.স্বপ্নের জীবন টির জন্য আজও মন কাঁদে.


এবার আসি কবিতার কথায়.প্রথম কবিতা লিখেছি যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি.মাদার তেরেসার মৃত্যু দিবসে স্কুলে পাঠ করেছিলাম সেটি.আজও মনে আছে কটা লাইন
" আজ তুমি জগত কে নিঃস্ব করে চলে গেলে /তাকাবেনা আর জগতের দিকে তোমার নয়ন মেলে /দরিদ্র আর্ত শিশুদের তুমি দিয়েছিলে আশ্রয় /জীবনের পথে কোনদিন তব হয়নি তো পরাজয় .
সেদিন থেকে কবিতা লেখার সখ চেপে যায়. রবীন্দ্রনাথ,শরত্চন্দ্র,বঙ্কিমচন্দ্র,আশাপূর্ণা দেবী  এনাদের লেখা একসময় গোগ্রাসে গিলেছি. " প্রথম প্রতিশ্রুতি " উপন্যাস টি আমার জীবনের পাথেয় স্বরূপ . সখে ও আগ্রহ তে অনেকের লেখাই পড়ি . একসময় " নির্বাচিত কলাম " বইটি মানসিকতায় অনেকটা পরিবর্তন আনে. নিঃসন্দেহে তিনি আমার অন্যতম প্রিয় লেখিকা. বেশ কয়েক বছর জীবনের টালবাহানাতে এই সখ টি কে নির্বাসন দিয়েছিলাম,কিছুটা অভিমানে ও. আবার যখন ফিরে পেলাম,কবিতার আসর হাতে পেলাম .হঠাত্ কবি না হয়েও কবি হয়ে গেলাম . আসরের কবি দের কাছ থেকে উত্সাহ ও ভালবাসা পেয়ে আমি ধন্য,এ উত্সাহ আমি আসে পাশের ও কাছের মানুষের থেকে কোনদিন পাইনি .
আপাতত আসর থেকে ছুটি নিচ্ছি কয়েকদিনের. ভালো কিছু লিখতে পারলে ফিরবো.