একটা আস্ত জীবন নিয়ে পথ হাঁটছি,হাঁটবো-
সুদিনের ডালি নিয়ে সূর্য উঠবে পূব ঘেঁসে,
চাঁদ তারা মিলে মিশে পোড়া চোখে আলো রেখে যাবে, স্বপ্নের আলো!
আমি পথ হাঁটবো-


হাঁটতে হাঁটতে ফেলে যাবো খেলা, কাঁচা আমের গন্ধে মাতাল একটা দুটো বৈশাখী বেলা.
ফেলে যাবো বর্ষার মুখ ভার অভিমানী গান
ফেলে যাবো,পড়ে থাকা আগাছায় জমা আছে যত পিছুটান.


ওপারের আকাশের জমা মেঘ,
না বলা কথার সাথে ভাবাবেগ-
পায়ে পায়ে জড়িয়ে গেছে শিকড়ের মতো
পায়েরও শক্তি নেই,বয়েসের সাথে বুড়ো,সেও অবিরত


উত্সব মুখরতা,না পাওয়ার যতো ব্যথা-
প্রতিবাদী চেতনা-
ঝুলি ভরা দায়ভার,একগুঁয়ে অধিকার
এর বেশি কিছু না
ফেলে যাবো.
ফেলে যাবো ঝুলি ভরা শুকনো রক্তের দাগ,কাদামাখা মুখ.
হারানো শৈশব থেকে কিনে আনা পোড়া বিড়ি,ভাঙ্গা বোতলের সুখ.


উদাসী আয়না টাকে ছুটি দেব এ পথেই.
অভিমানে ভেঙ্গে যাক,তাকাবোনা আর
শুধু দুই হাত দিয়ে পাল্টাবো সভ্যতা!
যে হাত পারেনি নিতে নিজেরই এ ভার?
আর নই,আর নই আশাহীন সুখের কাঙ্গাল.
কত শত মৃত্যু দেখে,ভূমিকম্প,সুনামি,বন্যা,খরা,
যুদ্ধ পার হয়ে আমি পৌঁছে যাবো শ্যাওলা ধরা জানলার কাছে.
জানি,দুটো চোখ আজও সেখানেই স্থির হয়ে আছে.
রক্তাক্ত রাজপথ পার করে মিশে যাবো,সে চোখের নীল মোহনা.
এখনো অনেক দূরে,সেই ছানি পড়া চোখ দুটো,আমার শেষ ঠিকানা.