কিছুই তো আর জমে থাকে না-
প্রবাহমানতা ধুয়ে নিয়ে যায় শ্যাওলার গাঢ় রং ।
বাতানুকুল ছোট্ট খোপে আকাশের কাছাকাছি-
পরিযায়ী পাখি ঘুলঘুলি খোঁজে, বাতাসে লেগেছে জং ।
তবুও রাতের অনুগল্পে,নীলচে আলোরা শব্দ সাজায়,
আত্মচরিত সাতসকালে চায়ের পাত্রে ফোটে ।
আলোর রেখায় ধূলিকণা ওড়ে-
তুমি আর আমি মুখোমুখি বসি
যখন সূর্য ওঠে । ।
এরই মাঝে রোজ সস্তা ঠোঙ্গায় উত্সব মুড়ে রাখি ।
একটা দীর্ঘশ্বাস থেকে আরেকটায় পার হয়ে যায় ছয় ছয়টা ঋতু-
তবুও কিছু হিসেব তো থাকে বাকি ।
হিসেব মেলাই চশমা চোখে,
অনুভূতি গুলো ডিম দেবে বলে আজও সিন্দুকে বন্দি ।
কাঁচের কেবিনে সাজানো টেবিল,
কাঁটা-চামচে চাহিদা গুলো মিটিয়ে নেবার ফন্দি ।
তবু মন রাতের অভয়ারণ্যে-
লুপ্তপ্রায় পশুর হেঁটে যাওয়া পথ হাতড়ায় ।
শর্করা মেশা রক্তও জাগে-
জাগে প্রতিদিন নিয়মের বসে,শরীরী নেশায় । ।
অবিচার দেখে অবিচল থাকি,
চোখের দায় তো নাই ।
ফ্রিজারের ভাত বড্ড ঠান্ডা,গরম করেই খাই ।
ফেয়ার এন লাভলি, এজ মিরাকেল হাতে বসে থাকি -
মিরাকেল হবে বুঝি !
প্রবাহমান সময় হাতড়ে অতীতের শিরা খুঁজি । ।