নিজেকে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে,টুকরো টুকরো হয়ে যখন তোমার কাছে পৌঁছলাম-
তোমার হাতে তখন চিত্তশুদ্ধির প্রসাদl
তখনও আমার পেছনে ধাওয়া করছে একটা ট্রাফিক সিগন্যাল,ঘিঞ্জি গলি,টিনের চালা,ছেঁড়া পর্দার পেছনে চকচকে কিছু সস্তার শাড়ি আর পাঁচ পয়সার নাকছাবি !
কাঁচের চুড়িগুলো মুখর শাপ-শাপান্তেl
ঢিল ছুঁড়ছে কিছু নেশাতুর লিঙ্গ l


আমার ঠোঁট ফোলানো অভিমানেরা তোমার চিবুক ছোঁয়নি তখনও ,
শুধু বিস্ময়ে দেখেছে তোমার কপালের স্বস্তিক l
রক্তক্ষয়ী অলিন্দে যাপন করেছে তোমার নির্লিপ্ততা ll
তোমার গেরুয়া অহং বারবার ছুঁয়ে গেছে নীল ক্ষতদের,
অথচ শুশ্রষা চেয়েছিলো তারা l


সতীত্ব তো কবেই দেখেছ নিলাম হতে,
তুমি সেদিন মাছের বাজারে বেড়াতে আসা একমাত্র নিরামিষাশী l
সাবধানে ডিঙ্গিয়ে গেছিলে পচা মাছের রক্ত ধোওয়া জল l
আজ নারীত্বকে আছড়ে মেরেছি তোমার চরণপদ্মে-
খাবি খাচ্ছে সেও l l


তোমার মন্দিরের সামনেই দুটো রাস্তা,বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের-
মিশে গেছে ইলেকট্রিক চুল্লির মুখে এসে l
তবু বিশ্বাস টুকু নিয়েই ফিরতে চাই,
অবিশ্বাসে তোমার সাথে পাশের পাড়ার মন্টুর কোন পার্থক্য দেখিনি আজ l l