ভুবনে আমি যেই দিন করেছিলাম পদার্পণ
অবুঝ হয়ে-রয়ে শুনি আওঁয়াজ গনগন।
উলঙ্গ আমি রয়েছি আমার প্রসূতির পাশে,
অতনুর মত লাগছে আমার চারিদিক,
ভাবছে সবাই হয়ত নূতন দ্বিপ আসলো বংশে।
অবহেলাই কাটলো আমার অবুঝ সারাবেলা,
দিবস রজনী বয়ে যাই, গুনি কখন ফুরোবে বেলা।


বুঝবার মত ক্ষমতা সবে জন্মেছে আমার তরে
শুধু দেখি চারিদিকে নৃ-নৃ দ্বন্দ্ব,
একটু ভেবে বুঝি-
ধূর্ত লোকের আয়ত্তে রয়েছে সবই ছন্দ।


জাগছে না কারো একটুখানি দেহান্তের ভয়,
মনুষ্যের স্বরণে নেই বুঝি-
একদিন লোকান্তরপ্রাপ্তিও হয়।
খটমট এই ধরা! স্বল্প সময়ে জানিয়ে দিল আমারে,
তাইতো এখন আমিও চলি দ্যুলোক প্রাপ্তির ধারে।
জানি ছেড়ে যেতে হবে স্বাদের এই ধরণী,
তবু লোকালয় মায়ার জালে...
বলছে সর্বদা কে অমরেশ্বর, তারে তো না চিনি?।
মূর্খ মানব কেন বৃথা করছো পরের জন্য দ্বন্দ্ব?
মহাপ্রয়াণ কালে তোকে কেও দিবে নারে সঙ্গ।