নির্জন এই দ্বীপের ভেতর
আমরা দু’জন কতো কাছাকাছি থাকি
উপরে অনন্ত আকাশ, নির্মল নিলীমা
নীচে অরণ্য আঁধার !


বলাকার অর্দশনে মেঘও ধৈর্য হারায় কখনো সখনো
অভিমানে ঢেকে দেয় সমস্ত আকাশ
অরণ্যের মর্মর থেমে গেলে ঝরে যায় সমস্ত ফুল
সমূদ্রের কাছে তখন বাতাস পালায় !
এতসব নাটকের ভীরে আমরা দু’জন পাশাপাশি থাকি
তবুও একবারও ছুঁয়ে দেখিনা কাউকেও কেউ
আমরা কি মানুষ ?
নাকি পাথর ?
নাকি অন্য কোন কিছু ?


তোমার সমস্ত চুল দমকা বাতাসে
ভুল করে কখনো বা এসে পড়ে
মুখের উপর
ওড়নার আঘাতে তন্দ্রা টুটে যায়
ভয়ানক ভূমিকম্প থেকে কোনরকমে আত্মগোপণ করা
অট্রালিকার মতো
আমি থর থর কেঁপে উঠি
নিজের ভেতর, তারপর নিজেকে সংহত করাই ।
অথচ
আমরা কেউ কাউকে বলব না- “এসো”
এইভাবে ছুঁই
এই-খানে ছুঁই
এইভাবে এ-ই করি !
কেননা আমি জানি, তোমার ইচ্ছাকৃত একটি ছোঁয়ায়
আমি মাটির চেয়েও আরো অনেক বেশী ভংগুর
বালি হয়ে
মিশে যাব পথের ধুলায় ।
তাই ভদ্রতাকে আমরা কখনো করব না অতিক্রম
কেউ কাউকে ছুঁয়ে দেখব না
নিষ্স্পেষিত নিষ্পাপের মতো ক্ষয়ে ক্ষয়ে আমরা
আরো উজ্জ্বল হতে চাই ।