এই যে পেতেছি শয্যা, বায়বীয় চাদরে !
প্রতিদিন ঘুম ভাঙ্গা ভোরে, প্রথমেই মনে পড়ে-
ভয়, শিহরন ও শঙ্কায়
আজ কি পাতা হবে বিছানায়
সন্ধ্যার আসরে ?


ভাবনার এক দাঁতালো বরাহ
সারাদিন চিবিয়ে খায় আমার ব্যস্ততা, নথির লাল ফিতা
ধাতব সময়, কর্মপ্রবাহ ।


হয়ত আসবেন প্রিয় বন্ধু কবি শ্রীতরুন
পাশ বালিশে হেলান দিয়েই বলবেন “এন্তেজাম কি বলুন” ?
পানের সাথে চাইবেন দোক্তাসহ সালঙ্করা নর্তকীর নাচ
কবীর হুমায়ুন খুলে বসবেন নীরেন্দ্র চন্দ্রের কবিতার ক্লাস ।
কিছু ফুল বাগানে ফোটে, কিছু ফুল বনে
কোনটা কার ভাল লাগে একমাত্র সেই জানে !


যদিও জানি, দিনের আলো নিভে গেলে
সাঁঝের  আঁধারে দু’তিন পেগ হুইস্কি  গিলে
কিম্বা কল্কিতে মাত্র দু’ছিলিম ধুঁয়া
তারপর, আমিও হয়ে  যাব মহারাজা ,
রাজ বেশ্যারা তাদের রেশমী আঁচল
বিছিয়ে দেবে যাত্রা পথে আমার পদতল
শিক্ষিত, জ্ঞানী ও গুনীর আসরে
যেতে যেতে,মূর্খ আমিও  
পেয়ে যেতে পারি কয়েক পঙ্ক্তি তরতাজা !


ছাড়ি ছাড়ি করেও হয়নি ছাড়া
কেবল তাড়িয়ে বেড়িয়েছে চোখ বাঁধা আবেগের পাগলা ঘোড়া
ভেবেছিলাম, গুটিয়ে নেব জাম্বুরি ক্যাম্পের মশারি
কাঞ্চনজংঘা হয়ে আদুল পায় তিব্বতে দেব পাড়ি
একদিন দেখি কিছু অদ্ভূত মুখ
যাবার পথ জুড়ে রেখে দিল এক মহা সিন্ধুক !


তবুও এ বাঁধা পাড়ি দিতে হবে, নিতে হবে খুঁজে নিজ ছায়াপথ
জীবনটা এত ছোট নয়, জানি, আছেই কোথাও প্রাপ্তির জয়রথ !