আমাকে একটা কবিতা দাও;
আমাকে একটা কবিতা দাও


বাংলা হরফে লেখা মামনির আঁচল
নিংরানো জলের শুধা নেব।
আদররিনী মায়ের ঘুম পাড়ানি
গানে মাতৃভাষার সুর তুলব।


আমাকে একটি কবিতা দাও


বাবার ঘর্মাক্ত হাতের স্নেহ,
পরন্ত বিকেলের ক্লান্ত স্থির দৃষ্টি
আমি দুহাতে জড়িয়ে ধরব।
জড়িয়ে ধরব ঘাসের বুকে জমে
থাকা শিশিরের কণা।
সোনালী ধানের ক্ষেতে ঝির ঝির
বাতাসে নেব সুবাস।


আমাকে একটি কবিতা দাও,
দাও দাও সেই কবিতা
ভাইয়ের উদাত্ত কণ্ঠে ধ্বনিত
মিছিলের রক্ত স্লোগান।  
সালাম রফিক জব্বার আরও অজানা
ভাইয়ের রঞ্জিত লাশ। দাও ন্যায় আর
সত্যে ভরা সৌম্য দ্বার খুলে।


আমাকে সেই কবিতা দাও..


৭১ এর পাক সৈনিকের শক্ত
বুলেটে ধর্ষিত বোনের কলঙ্ক মাখা অশ্রু,
আমি দুহাতে মুছে দেব; মুছে দেব বেদনা আর তিক্ততার গ্লানি। আমি আপন আলয়ে দেব ঠাঁই
যারা ঘৃণিত উপেক্ষিত নিগৃহিত অত্যাচারিত
আমি ঠান্ডা জলে তৃষ্ণা মেটাব দুঃস্থ অবলাদের।


আমাকে একটা কবিতা দাও...


আজও যারা বিপন্ন দ্বারে দ্বারে
খুঁজছে ভালোবাসা। আমি সোনা
অক্ষরে লিখে যাবো সেই মানুষের নাম
যারা মায়ের ভাষার জন্য হয়েছিল
লাঞ্জিত,বঞ্চিত প্রতারিত।


যারা দেশ ভিটে মা মাটিকে করেছিল লুণ্ঠিত,
অনাহারী বুভুক্ষ অসহায় নিরন্ন যারা পঙ্গু আর দারিদ্রের যাতাকলে  হয়েছে নিষ্পষিত।