বুকের ভেতরে দমকা বাতাস
     বার বার ঘোরপাক খায়,
   থেকে থেকে কেমন যেন
   দুলে উঠে অবচেতন মন ৷


  কখন নিশ্চল, কখনও উন্মাদ!
আকাঙ্খিত হয়ে উচ্চ রবে ডাকি,
     নীলাকাশে ভেসে বেড়ানো
      দুগ্ধদ্যুতি মেঘবালিকা।


    হঠাৎ দেখি থমকে দাড়ায়,
   আবারও বিরামহীন ছুটে চলা ৷


      আমি এক অভাগিনী,
চলার পথ জোড়ে কেবলই ঘৃণা,
     তাচ্ছিল্য আর অবহেলা ৷


  গোপন কুটিরে নিরব জিজ্ঞাসা !
    কেন এলাম এ ধরা তলে?
      উত্তরের প্রত্যাশায় ছুটছি
          কেবলই শুন্যতায়;


   সাদা কাগজে আঁকি বুকি করি
        কালো কালির আচরে,
টুকরো টুকরো করে বিচ্ছন্ন করি
          এলোমেলো সম্ভার;


  যদি নাই বা মেলে কুয়াশা ভেজা ভোরে
            তাজা শিউলীর সুগন্ধ;
       যদি নাই বা দেখি শুষ্ক বালিতে
              এক ফোটা জল,
      যদি নাই বা থাকে জীবন ভান্ডারে
           এক টুকরো সুখ স্মৃতি,
      তাহলে কেন নিরন্তর পথ চলা?


  মনের গোপনে হাজারও ক্ষতের দাগ দ্বগ্ধিভূত
              ঝরছে রক্ত অনবরত ৷


              আমি এক অভাগিনী;
     সুখস্বপ্ন রাজ্যের বিছানা গড়ি অনায়াসে
           করি বিচরণ ক্ষণে ক্ষণে ৷


      যা কিছু পাই তাই যেন হারাই
         দুর্লভ বস্তুর করি অন্বেষন।
      মন্ত্রমুগ্ধের মতো ভাসমান দৃষ্টি;
    অদূর আকাশে মিশে যাওয়া সৃষ্টি
                 করি প্রক্ষালণ ৷