নির্ঘুম রাত। আকাশ জুড়ে অজস্র তারার মেলা হঠাৎ ধূমকেতুর তাণ্ডব প্রলয় ঝড়ে তছনছ চারিদিক। ঘুম দেবতা পরিশ্রান্ত দেহ ছেড়ে বিদায় নিয়েছে নিজস্ব গন্তব্যে।


গহীন অন্ধকারে নির্লিপ্ত দৃষ্টি প্রসারিত করে তন্ন তন্ন করে খুঁজি তোমায়। নির্জনে বয়ে যায় কোমল বাতাস। জুড়ায় না তবু প্রাণ। কয়না কথা কভু কানে কানে।


ঘুটঘুটে অন্ধকার। পিনপতন শব্দ ঝংকার তোলে মানব মনের গভীরে। এই বুঝি রাক্ষসপুরীতে এসে পৌঁছে গেছি, ভয়ঙ্কর গোঙ্গানী। শিউরে ওঠে শরীরের রোমকূপ। হৃদপিন্ডের ধুকপুক আওয়াজ যেন দেওয়ালে টাঙ্গানো ঘড়ির কাঁটায় এসে বজ্রাঘাত করে। ভূমিকম্পের মতো ভেঙ্গে গুড়িয়ে পড়ে সম্মুখ পানে ইট কংক্রিট। ভগ্নস্তূপে হোঁচট খেয়ে হুমরি খেয়ে পরি । ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত দেহে আবারো এগিয়ে যাই ।


নির্জন মধ্যরাতে বাদুরের পাখা ঝাপটানী কৌতুহলী মনে আবারো তান্ডব ছড়ায়। অদূরে দণ্ডায়মান ল্যাম্পপোস্ট কল্প মনের ভাবনায় যেন এক পা দু পা করে এগিয়ে আসে সম্মুখ পানে। আতঙ্ক মনে কেবলই তুফান তোলে।


সাহসের সাথে সখ্যতা গড়ি, বন্ধু বানাই তাকে আপন মনে। তার প্রতাপে প্রলাপ বকি একান্ত মনে। আবারো গহীন অন্ধকারে দু হাত প্রসারিত করে খুঁজি তোমায় হন্যে হয়ে। মনের বারান্দায় অতি আপনে যে গাছ রোপন করেছিলাম, আদর যত্নে যাকে বড় করেছিলাম একান্ত আপন ভুবনে, সেই তো আমার অনন্ত রচনা। সেই তো আমার হৃদয় আঙিনা, আমার স্বপ্ন। আমার আনন্দ আমার ভালোবাসা।