আজ ফ্রেন্ডসিপ ডে তাই সকল কবি বন্ধুদের জানাই বন্ধুত্বের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। এই কবিতার রচনাকাল দুপুর ১.১৬-২.০০। হঠাৎ এমন ভাবনা মাথায় চাপল না লিখে পারলাম না। (গ্রামের দুই বন্ধু আস্তে আস্তে প্রেম যেভাবে জাগল তাদের মনে। রোগা পাতলা রমেশ আর মোটা স্বাস্থ্যবতী রূপালীর প্রেম কাব্য.. সম্পুর্ণ কাল্পনিক)


পাশের বাড়ির রূপালী ভালোবেসে রমেশকে
লিখল প্রেমকাব্য দু কলি..


ভাবছে রমেশ এমন মটু আমায় নিয়ে লিখছে
কিনা কবিতার কলি.. এখন আমি কি বলি?


রূপলী এলো নির্জন দুপুরে সাথে জড়িয়ে শত আবেগে
বলল ডেকে তোমার প্রেমে পাগল আমি হচ্ছি যে ফালি ফালি!!


রমেশের মন বড়ই বিষণ্ণ ভাবছে মনে মনে..
অবশেষে এই মটু রূপালী তার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে, হচ্ছে কিনা ফালি ফালি??
রূপালী..বৃথায় চেষ্টা করছ খালি খালি..


মন বেজার রূপালী নাছোর বান্দা-
এই দেখো না সোনা তোমার জন্য আঁকছি আমার ছবি..
নাকটা বড় চোখটা ছোট পেটটা হল কেমন মোটা!!!


রমেশ ছবি দেখে মনে মনে বলে
এমন ছবি আঁকলে গুরু নিজেকে বানালে কোরবানীর গরু
মুখে মধু পেটে বিঁষ রেখে বলে এই তোমার দেহ গোটা!!!


রূপালী এবার মাথা চুলকায় বলে-
বল্লে না তো কেমন আঁকলাম ছবি কেমন হলাম কবি?


রমেশ বলে (স্বল্প রাগত স্বরে)- রূ..পা..লী ভালই আঁক ছবি
তুমি নও তো মন্দ কবি.. দেখো একদিন হবে মস্ত বড় রবি।


রূপালী এবার খুব খুশিতে মুচকী হেঁসে বলে
আমিও ভাবছি এসবই। মনে মনে ভাবে হয়ত হব একদিন রবি নয়তো কাজী
তখন কি আর রাখব মনে তোমার মত পাজি?


রমেশের মনে বিন্দু বিন্দু প্রেম জাগে.. রূপালীর মনের কথা বুঝতে পেরে বলে-
রূপালী আর নয়তো লিখবে কাব্য আঁকবে ছবি,এখন থেকে দেখা হবে ক্ষণে ক্ষণে
কথা হবে মনে মনে আঁকব ছবি দুজনে তোমার ঐ লেমন রূপী ঠুঁটে..


চক মকিয়ে উঠেছিল রূপা বর্ণ চোখ
হঠাৎ যেন পরল এসে জমাট বদ্ধ বরফ।
মনে মনে রূপালী বলে-ভাবছ আমি বুঝি না কিছু কেন আস চুপি চুপি আমার পিছু পিছু।


রমেশ ভাবে- হোক না মোটা হোক না ধাপা প্রেমটা এবার হলেই হল
তারপর না হয় বুঝব মন্দ কিংবা ভাল!!


রূপালী দুঃখ মনে কাঁদো কাঁদো স্বরে বলে-যাই গো রমেশ তোমার সাথে
আর হবে না দেখা কাল সকালে চলে যাব গ্রাম ছেড়ে ঢাকা।


রমেশ বলে- এই তোমার প্রেম!!! এত দিনই ছিলাম ভাল
প্রেমটেম নাই বা ছিল,এখন মনে প্রেম জাগল আর তুমি যাচ্ছ করে সব ফাঁকা??


রূপালীর হাতে শুকনো মালা
শৈশবে তোমার লাগি গেঁথে ছিলাম বকুলের মালা-
এই দেখো না পড়িয়ে দিলাম তোমার গলে..যেয়ো না কিন্তু আমায় ভুলে..


রমেশ এবার আবেগ ধরে রাখতে পারে না তাই রূপালীকে জড়িয়ে ধরে বলে-
রূপালী কষ্ট নিও না মনে আমিও কিন্তু পড়তে চাইনি তোমার প্রেমের প্রলোভনে
তুমি যে সত্য প্রেম কাকে বলে তা শেখালে আমার মনে, তোমায় আমি ভুলি কেমনে..


রূপালী এবার ভাবে মনে মনে
স্বার্থক হল অবশেষে রমেশকে ভালোবেসে,
বলল এবার ডেকে- চাইলে আমরা সাঁজাতে পারি সোনার সংসার দুজন দুজনায় ভালোবেসে।


রমেশ নাকি খুব খুশিতে
রূপালীর কথায় টগবগিয়ে মিষ্টি করে হাসে।