দ্রুত হাঁটছিলাম রাস্তা দিয়ে ব্যস্ততা নামক অজুহাতে
       হঠাৎ থমকে দাড়াই কোন এক অজানা সংকেতে
             ঠোঁট কামড়ে নিজেকে নিজে প্রশ্ন করি,
                    কেন এই থেমে যাওয়া?
          বিস্মৃত স্মৃতির অতল গহব্বর থেকে টেনে আনা
      আধো চৈতন্য আবদ্ধ চোখের আবরন উন্মক্ত করে দেয়,
   মন্ত্র মুগ্ধের মতো অপলক নয়নে ক্ষাণিকটা সময় অতিবাহিত;
                       তারপর আবারও গমন...
                    মনের কোনে রেখাপাত হয়;
                      প্রত্যাশা নিয়ে ফিরে দেখি
            তখনও নিঃষ্পলক দৃষ্টি মেলে আমারই দিকে ৷
                     হয়তো প্রশ্ন ছিল কেমন আছি?
                        এত দিন কোথায় ছিলে?
                        আরও না জানি কত কি;
               তাত্ক্ষনিক নিজেকে নিজে সংবরন করি,
         নিজের ভেতরের জিজ্ঞাসা গুলোকে বালি চাপা দিই,
               সামনে আরও সামনে এগিয়ে যাই...
   তারপর আবারও নিঃসঙ্গতায় ওগলে দেয়া প্রশ্নের উত্তর খুঁজি;
                 এই কি সেই; যাকে আমি চিনতাম,
         এই কি সেই; যাকে আমি মনের গোপন কুটিরে
            একান্ত আপন দোয়ারে স্থান দিয়ে দিয়েছিলাম?
         যার দেখা স্বপ্ন গুলি নিজের মতো করে সাজাতাম?
       যার টুকরো টুকরো অভিমান গুলো সযতনে ভাঙ্গতাম?
     যার লেখা ছোট্ট চিরকুট একান্ত নিরালায় আপন মনে পড়ে
                        খিঁল খিঁল করে হাঁসতাম?
             এই কি সেই; যাকে এক নজর দেখার প্রত্যাশায়
                 একান্ত চুপিসারে নির্জন রাস্তার ধারে
                  ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতাম?
               কখন হাঁতের; কখনও বা চোখের ইসারায়
                       মনের ভাব প্রকাশ করতাম?
                           হঠাৎ কেন জানি...
  ভাবনার মানসে সুবিশাল ডাইরীটা চোখের সামনে প্রতিভাত হয় ৷
         ফেলে আসা দিন গুলি কেমন যেন ঘোলাটে মনে হয়;
      মনে হয় এটি ছিল কেবলই ফ্রেমে বাঁধা কোন অলিক স্বপ্ন ৷
          স্নিগ্ধ আবেশে নরম হাতে স্পর্শ করি; আলিঙ্গন করি
                  কেন জানি সুশৃঙ্খল মনের আরশীতে
      গহীন অরন্যে একাকী চলার উত্কন্ঠা ঝাপ্টা দিয়ে উঁকি মারে ৷
                  গন্তব্যের তাড়নায় আবারও অগ্রসর...
     একান্ত চুপিচারে ডাইরীটা বন্ধ করে বেড়িয়ে পরি নতুন পথে ৷