আমি গুমরে গুমরে মরেছি
        বাঁচার আশায়
      ফুপিয়ে কেঁদেছি
        অজানা ব্যথায়;
আমি নিথর হাত জাগিয়েছি,
কাতর কন্ঠে চিৎকার করে বলেছি..
         বাঁচতে চাই আমি
          বাঁচতে চাই।
   তোমরা কেউই পারলে না
    আমাকে করতে উদ্ধার।
আমি কত ঘন্টা উপোষ থেকেছি..
   আমি কত মিনিট নিঃস্পলক
     চোখে তাকিয়ে থেকেছি
আমি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছি অনবরত;
    হতাশাগ্রস্থ সৈনিকের ন্যায়।
         আমি নির্বাক কণ্ঠে
       চিৎকার করে বলেছি;
          কেউ কি পারবে
             এক ফোঁটা
    শীতল জলে ভিজিয়ে দিতে
      আমার তৃর্ষ্ণাত জীবটা?
    তোমরা কেউই পারলে না
      দিতে এক ফোঁটা জল
   কত নিষ্ঠুর, কত অমানবিক,
      কত পাশবিক তোমরা
      ধিক তোমাদের ধিক!
আমি অবশ থেতিয়ে যাওয়া দেহে
    জীবনের আকাঙ্খা করেছি;
আমি আমার ক্ষুধার্ত পিড়িত মায়ের
   চোখের জল মুছতে চেয়েছি..
আমি আমার অবোধ শিশুর মুখের
  না বলা কথা শুনতে চেয়েছি.
আমি হত দরিদ্র নিঃস্ব পিতার ভারী বোঝা
  লাঘব করতে চেয়েছি বলেই তো..
প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছি বার বার আর্তনাদে,
      তোমরা কেউই পারলে না
  আরেকটি প্রাণকে ফিরিয়ে দিতে
      ররআমার নির্মম কণ্ঠস্বর
     মোচড়ে আসে রুদ্ধ শ্বাসে;
        আমি ধীর হতে ধীরে
নিঃশ্বেষ হতে চলেছি অজানা গন্তব্যে,
সময়ের তাড়নায় নিঃস্তেজ হতে থাকে
        আমার বুকের স্পন্দন;
           শিথিল হয়ে আসে
          আমার সঞ্চিত শক্তি
     আমার নির্লিপ্ত চোখের পাতায়
     সাদা মেঘের মৃদু স্পর্শ লাগে।
কে যেন অপর প্রান্ত থেকে বলে উঠে
            চলে এসো
                 চলে এসো
লোভ লালায়িত স্বার্থপর পৃথিবী থেকে,
স্নিগ্ধতায় এক ফোটা শীতল জলের
       স্পর্শ পেলাম শুষ্ক ঠোঁটে
   আমার তৃর্ষ্ণাত বুকের ভিতর থেকে
       শেষ নিঃশ্বাস বেরিয়ে এলো
               একান্ত গোপনে ...