যার আগমনে...
বন্ধ্যাত্ব মায়ের প্লাবিত নয়ন হয়েছিল
আলোয় ঝলমল, কৃষক পিতা বুনেছিল স্বপ্ন চোখে
যে ছিল চোখের মনি আদরের ধন, হীরা মুক্তা।


সেইতো আবার ভরা পূর্ণিমা কালো আঁধারে লেপে দিয়ে
পিতামাতার চোখে শ্রাবণ ঢেলে হায়েনার মুখের হল অন্ন।


ওহে নিষ্ঠুর নির্মম...
কতটা অসহায় কন্যা শিশু যাবে তোর ভোগে?
কতটা নরম মাংস পিন্ড খাবি ক্ষোবলে তোর ধারালো নোখের আঁচড়ে?


এই কি সভ্য সমাজ!
এই তার সভ্য রূপ!
এই স্বাধীনতা! বিজয়ের পতাকা হাতে আজও গুমরে মরে মন।
হতাশার প্লাবনে উতরে উঠে প্রশ্ন, কতটা রক্তের বিনিময়ে পেয়েছিলাম তোমায়
৪৭ বছর পরেও কি হতে পারলাম মুক্ত পরাধীনতার শিকল চূরে?


প্রতিদিন দেখি তোর উলঙ্গ রূপ...


যারা ভাবে ভোগেই প্রকৃত সুখ, নয় ত্যাগে
তারাই কলঙ্ক এই সমাজের। আমি ঘৃণা ছুড়ি তাদের, দিই শাপ যতটা লয়ে বল।
আমি থুথু ছুড়ি সেই সব পুরুষত্বের যারা এখনও পাক পোশাকে এ দেশকে করছে কলঙ্কিত


যারা পাষন্ড, লালায়িত কামনার বীজ বুনে যায় প্রতি রাতে।