স্বপ্ন মন সুউচ্চ গাছের ডাল বেয়ে কেবলই
উপরের দিকে উঠে,তখনও মগডালে পৌঁছায়নি।


বাঁধ সাধে শুকনো মরা আঁশটে পরা ডাল;
পা রাখতেই মড় মড়িয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে ফেলে দেয় শিকড়ের তলে।


ঘুমন্ত মনে স্বপ্নের শিখা যেন আকাশ ছুঁই ছুঁই,
ঘূর্ণি বাতাস ঘুরতে ঘুরতে কখন যেন ধপ করে নিভিয়ে দেয় স্বপ্ন শিখা।


অবাক বিষ্ময়ে হতাশ মনে ঘন্টা ধ্বনী বাজে।
ফিরতে চায় না মন পুরানো জড়া জীর্ণতায়..


আবারও স্বপ্ন মন পাখা মেলে নীল আকাশের;
সাদা মেঘের ভেলায় উদিত সূর্যের দ্যুতি ছড়ায়..


তখনও মৌন মন ভাসমান মেঘেদের সাথে সখ্যতায়
মেশে অবলীলায়। ছুটন্ত ধুমকেতু ভেঙ্গে মোচড়ে দেয় রঙিন পাখা..


স্বপ্ন মন দোলে উঠে আঁকা বাঁকা
অজানা গলির পথ ধরে নির্মম ভাবনায়..


আমি এক নিরেট পাথর
ভেঙ্গে গুড়িয়ে যাইনা কখনো..


শক্ত হাতে মুষ্টি বেঁধে ধরি,
প্রবল স্রোতের প্রতিকূলে চলি অনায়াসে


স্বপ্ন সিড়ি ডিঙিয়ে অবমুক্ত করব সেই চাওয়া
যেখানে শান্তি সান্তনা, সুখ সাধনা ভেসে বেড়ায় নির্বিবাদে।


আমি স্বাধীন হাতে তুলে নিলাম সহস্র কলম
সাদা কাগজে লিখে যাব অব্যক্ত মনোবেদনা সুপ্ত সাধনা।


আমি অজস্র তুলি আর রং ছড়িয়ে এঁকে যাব আল্পনা
যার সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়বে দিকে দিকে..


সৃষ্টির অপূর্ব সৌন্দর্যে যুক্ত হবে আরো কিছু
নবীন সৃষ্টি,চৈতন্য জুড়ে যাদের নিদারুণ আনাগোনা।


আমি প্রবল বেগে ছুটে যাব সেই দিগন্তে
ছুটন্ত ঘোড়ার টগবগে তালে তালে।


আমি ছিনিয়ে আনব সত্য,
মিথ্যা অহংকার করব চুরমার।


যারা এখনও অন্ধ জড়তা আকড়ে ধরে করছে বসবাস
তাদের নেত্রপর্দা খুলে দেখিয়ে দেব মধ্যাহ্নের তপ্ত আলো।