রতন নামের বাল্যবন্ধু
ছিল একটা বুদ্ধু
পড়াশোনায় কাঁচাগোল্লা
খেলতে শুধু হাডুডু।


তাকে নিয়ে লিখতো সবাই
মজার মজার কৌতুক,
পড়াশোনা করত না তাই
মার খেত অহেতুক।


সবাই বলে লাজুক ছেলে
খাবার বেলায় পেটুক,
কাজের বেলায় যেমন-তেমন
খেত যেমন জুটুক।


প্রাইমারিটা শেষ করতেই রতন
এলো জীবনে পরিবর্তন,
পাশের বাড়ির শিউলিকে সে
করল প্রেম নিবেদন।


শিউলি রেগে আগুন হলো
এমন প্রেম পত্রে,
হাজার দশেক বানান ভুল
চিঠির প্রতিটি ছত্রে।


রতন ভাবে কি এমন হলো
শিউলি কেন আগুন?
ছাত্র জীবন যেমনটাই হোক
প্রেমে চাই গুন।


অবশেষে
রতন গেল রাজার হাটে
কিনতে কিছু গুণ,
অবশিষ্ট যা পেল সে
পোকে ধরা বেগুন।


রতনের প্রেম ছড়িয়ে গেল
পাড়াপড়শির মুখে,
সেই লজ্জায় রতন এখন
পুড়ছে ধুকে ধুকে।


জানা ছিলনা প্রেম পত্র
কেমন করে লিখে,
এবার আর ভুল হবে না
লিখবেই সে শিখে।


সবশেষে রতনের ঘনিয়ে
এলো বিয়ের দিন,
উড়াধুরা ওই মনটা তার
এক ঝটকায় রঙিন।