কেন তুমি দেখিছ আমায় নিস্পলক নয়নে,
আমি তোমার পথ চেয়ে থাকি একান্ত বিহনে।


এসো এসো তুমি আবার দাও মনে তব দেখা,
চিত্ত ভরাও তব প্রেমে মুগ্ধতায় কর শান্ত শাখা।


এ চাতকী হৃদয় চায় তোমায় বারে বারে,
দাও না দেখা আমায় একান্ত চুপিসারে।


তোমার ভাসা ভাসা নেত্রদ্বয় যেন কত অব্যক্ত কথা বলিতে চায়,
রয়ে গেছে মন গোপন ডাইরীতে পুড়িছে কেবলই শত বেদনায়।


হে প্রিয় তুমিই আমার সপ্ত সুখ জাগাও মনে দোলা,
তোমার ঋণ কি করে শোধিব; যায় কি তোমায় ভোলা?


শত শত দিন পূর্বে তোমার হয়েছিল জন্ম সার্থক রবির তেজস্বী কণায়,
হে প্রিয় দাও না গো দেখা আর একটি বার বাংলায় নয়তো অপূর্ণ ধরায়।


নয়তো এসো নিশি প্রহরে মুদিত নয়নে গোপন স্বপন দোয়ার দ্বারে
এখনও তুমি জীবন্ত ছবি তাকিয়ে রও চোখে চোখে একান্ত নির্বিকারে।



সেদিন প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ছবি দেখছিলাম। তিনি যেন নিস্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আমাকে দেখছিলেন। আর ছবি দেখে আমার মনে এমনই অনুভূতির সঞ্চার হয়। সেই আলোকে কবিতাটি..